পূর্ব বর্ধমান খণ্ডঘোষ রূপসার সুমিত্রা সরেন বর্ধমান ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন জায়গার কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। উল্লেখ্য মফস্বল এলাকার গরিব মানুষদের মধ্যে করনা পরিস্থিতিতে যখন ঠিকঠাক পেট চালানোর জোগাড় হয়ে উঠছে না, অনেকের কর্মসংস্থান যেতে বসেছে এবং অনেক পরিবার কর্মসংস্থান হারিয়েছে। সেই অবস্থায় অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে স্কুল-কলেজের সাথে যোগাযোগ রাখা অনেকের কাছেই দুঃসাধ্য। এরকম পরিস্থিতিতে বর্ধমান ইউনিভার্সিটি তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার জন্য এডমিট কার্ড সংগ্রহ করার জন্য তথ্য পাঠানো হয়েছিল ওয়েবসাইডে।
সে কারণে এন্ড্রয়েড ফোন না থাকার জন্য অনেকেই ওয়েবসাইটের দেওয়া এই তথ্য পায়নি। সে কারণে অনলাইনে দেওয়া এডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারেনি অনেকেই। আর তার জেরেই পরীক্ষাও দিতে পারল না অনেকে। এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমান খণ্ডঘোষ রূপসার সুমিত্রা সরেন। দরিদ্র অবস্থায় থাকার জন্য জীবনে দেখা দিল ভয়ঙ্কর সংকট। সম্পূর্ণ একটা বছর নষ্ট হয়ে গেল। তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু হলেও এডমিট না থাকার জন্য পরীক্ষা দিতে পারল না সুমিত্রা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কথা বললে তারা জানায় পরের বছরে যোগাযোগ করতে। অনেকেই আবার বলছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতির জন্যই এডমিট পেল না, আর পরীক্ষা দিতেও পারল না।
বিশ্ববিদ্যালয় যখন ওয়েবসাইটে একটা করে তথ্য দিয়েই দায় সেরেছে তখন পরীক্ষার্থীরা এক প্রকার অসহায়। অনেকে এন্ড্রয়েড ফোন কিনলেও যথাসময়ে রিচার্জ করাতে সামর্থ্য হয়নি। ছাত্র-ছাত্রীর অনেকের মতামত যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে একটি করে এসএমএস পাঠানো হতো, তাহলে হয়তো এরকম পরিস্থিতি হত না। তাই অনেকেই ওয়েবসাইটে দেওয়া সমস্ত তথ্য দেখতে পায় না। আর যার ফলে পরীক্ষাও দিতে পারল না অনেকে। তাই পড়াশোনাতেও অর্থনীতি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অনেকেরই।