আজ সকালেই কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যের মুখ্য সচিবকে যথেষ্ট কড়া ভাষায় চিঠি দিয়ে জানিয়ে ছিলেন রাজ্য করোনা আক্রান্ত ও মৃতের যে তথ্য দিচ্ছে তা স্বচ্ছ নয়। এরপরে বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। অবশ্য আজ উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বলেন, আমাদের কাছে সব জায়গা থেকে তথ্য আসছিল না। এখন সরকারি, বেসরকারি সব ল্যাব থেকে তথ্য আসা শুরু করেছে। ফলে এখন আমরা রোজ মোট আক্রান্তের সংখ্যা জানাতে পারব। এরই পরই তিনি জানান এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১২৫৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ৯০৮ জন রোগী এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তা ছাড়া গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন।সেই সঙ্গে মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, গত চব্বিশ ঘন্টায় কোভিড আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের। এখনও পর্যন্ত কোভিডে রাজ্যে মোট ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অডিট কমিটি আগে জানিয়েছিল যে আরও ৭২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী কো-মর্বিডিটির কারণে মারা গিয়েছেন।
সরকারের এই বিবৃতির পরিষ্কার অর্থ হল, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ১৩২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৬১ জনের মৃত্যুর কারণ নবান্নের মতে কোভিডই। মুখ্য সচিবের সাংবাদিক বৈঠক এরপরে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন আজকের ঘটনা থেকেই বোঝা গেল এইরকম একটি মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সরকার ও তার আমলারা ছেলে খেলা করছিল। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন তিনি এবং তার দল প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিল রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে ছেলেখেলা করে রাজ্যকে সর্বনাশের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। মুখ্য সচিব যে কথা বলছেন স্বাস্থ্যসচিব তার উল্টো কথা বলছেন। আজ আবার মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠক করে যা বললেন তা আতঙ্কিত হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।