রাজ্যে চাকরি নেই, ডিয়ে নেই, পুজোর সময় বাড়ছে দুষ্কৃতী রাজ। অথচ ক্লাবকে দেবার জন্য কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করছে রাজ্য। এবার পুজো কমিটি পিছু ৭০ হাজার টাকা করে ‘শারদীয়’ অনুদান দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতবছর প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এবছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ১০ হাজার টাকা অনুদান বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। এই বছর দুর্গাপুজোর কমিটিগুলি অনুদান পাচ্ছে ৭০ হাজার টাকা করে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিকে প্রতি বছরই আর্থিক সাহায্য দিয়ে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার। শুরু হয়েছিল পুজো কমিটি পিছু ২৫ হাজার টাকা করে। কোভিডকালে তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। তারপর বেড়ে হয় ৬০ হাজার টাকা। আর এবার দুর্গা পুজোর কমিটিগুলির জন্য আরও ১০ হাজার টাকা ‘শারদীয়’ অনুদান বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের সব দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই অনুদান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এই বৈঠকে মমতা বলেন, ‘সরকারের কিন্তু একদম টাকা নেই। যখন প্রয়োজন হবে সাহায্য করবেন তো?’ এরপরই ঘোষণা করেন, ‘৬০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭০ হাজার করলাম।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, ‘এমন নয় যে আমরা টাকা দিয়ে ক্লাবগুলিকে কিনে নিচ্ছি। তা নয়। আমাদের টাকা কম। টাকা নেই।’
এমত অবস্থায় এক একটি জেলার বিভিন্ন ক্লাব গুলিকে কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার। সরকারি এই অনুদান পাচ্ছেন মোট ৩৯৫৪৫ টি ক্লাব। এই অনুদান পিছু মোট টাকার অঙ্ক দাঁড়াচ্ছে ২৭৬ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিছু কিছু জেলায় ২৬ কোটি, ২০ কোটি পর্যন্ত অনুদানও দেওয়া হচ্ছে। দেখে নেবো কোন জেলায় কতো গুলি করে পুজো হচ্ছে এবং কত টাকা করে দেওয়া হচ্ছে জেলাকে।