বীরসা মুণ্ডার মূর্তি বিতর্ক অব্যাহত বাঁকুড়ায়। এবার ফের নতুন করে মূর্তিবিতর্ক উস্কে দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে। আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার চিঠি পাঠানো হচ্ছে স্বরাস্ট্রমন্ত্রকে, মঙ্গলবার এই খবর জানালেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার ছেলে মেয়েরা মঙ্গলবার থেকেই এই চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির ঠিকানায় পাঠাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাঁকুড়া সফরে আসেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জেলায় পৌঁছেই শহর সংলগ্ন পুয়াবাগানে একটি মূর্তিতে মালা দেন। বিজেপির তরফে এই মূর্তিকে বীরসা মুণ্ডার দাবি করা হলেও আদিবাসী সমাজের একাংশ এ দাবি মানতে নারাজ। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মূর্তি একজন আদিবাসী শিকারীর। এক শিকারীর মূর্তিকে বিজেপি বীরসা মুণ্ডার বলে জোর করে চালাতে চাইছে বলেও অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ নিয়ে আদিবাসী সমাজের অন্য একটি গোষ্ঠী ঐ মূর্তিটি বিরসা মুণ্ডার মূর্তি দাবি করে গত রবিবার তাঁর জন্মদিন পালন করে। এদিন চিঠি লেখার ফাঁকে ঈশ্বর মুর্ম্মু, নীলমনি মুর্মুরা বলেন, এক শিকারীর মূর্তিতে আমাদের আরাধ্য দেবতা বীরসা মুণ্ডার নাম করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মালা দিয়েছেন। যা আমাদের সমাজের পক্ষে অপমানজনক। তাই তাঁকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি লেখা হচ্ছে।
এবিষয়ে বিজেপির জেলা যুব মোর্চা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, গত লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে তৃণমূল আদিবাসী সমাজের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই এখন ভগবান বীরসা মুণ্ডাকে নিয়ে রাজনীতি করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখার বিষয়টি তৃণমূলের ‘ভাঁওতাবাজি’। আর এই ভাঁওতাবাজিতে আদিবাসী সমাজ পা ফেলবেনা বলে তিনি দাবি করেন।