‘রাজ্যপাল তুমি অমিত শাহের জুতো বহন করো। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস বহু লড়াই করে আজ ক্ষমতায় রয়েছে। তাই ২০২১ এ নির্বাচনের পরও আপনাকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে’ গোঘাটের বেঙ্গাই এলাকায় বিধানসভা ভিত্তিক জনসভায় এসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারকে এভাবেই বেনজির ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যপালকে বিজেপির দালাল বলে কটাক্ষ করেছেন করলেন কল্যাণবাবু।
জনসভা থেকে রাজ্যপালকে ‘লালুভুলু দা’ বলে খোঁচা দেন কল্যাণ ব্যানার্জি। তিনি বলেন ওই লালুভুলুদা হলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। তিনি নিয়মিত বিজেপির পার্টি অফিস যান। আর সকাল-বিকাল সংবাদমাধ্যমকে ডেকে অযথাই রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করেন। তিনিই সব থেকে বেশি সংবিধানকে লংঘন করছেন।
একই সাথে নাম না করে মুকুল রায় কেউ খোঁচা দেন কল্যাণ ব্যানার্জি। তার কথায় তৃণমূলের অনেক কালো রক্ত বেরিয়ে গিয়ে বিজেপিতে নেতা। আর সেই নেতাদের সাথেই বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের দ্বন্দ্ব হচ্ছে। বর্তমানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বুঝতে পারছেন কাদের তিনি দলে টেনেছে। এখন ছবি অনেক বাকি।
একইসাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে গুন্ডাদের মহানায়ক বলে কটাক্ষ করলেন কল্যাণ ব্যানার্জি।
এদিনের এই কর্মসূচিতে কল্যাণ ব্যানার্জি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল যুব সভাপতি শান্তনু ব্যানার্জি, তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, হরিপালের বিধায়ক তথা তৃণমূল রাজ্য কিসান ক্ষেতমজুর সেলের সভাপতি বেচারাম মান্না, মেহেবুব রহমান, বিধায়ক মানস মজুমদার, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, মনোজ চক্রবর্তী, সুমনা সরকার সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপিকে পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন হুগলি জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য তথা রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত।
অন্যদিকে অসীমা পাত্র বলেন, বিজেপি ভাবছিল গোঘাট বিধানসভা তারা জিতে গেছে। কিন্তু আশাকরি এদিনের এই জনসভার পর সকলেই ঘর ঢুকে যাবে। মানুষ ঠকানো বিজেপি কাত হয়ে গেছে।
সবমিলিয়ে এদিনের এই জনসভাকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিল শাসকের অন্দরে। অনেকে আবার তৃণমূলের এই জনসভাকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের হাইভোল্টেজ সভা বলেই মনে করছেন।