লকডাউনের কারণে এক মা ১৪০০ কিলোমিটার স্কুটি চালিয়ে গিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে বিস্ময় তৈরি করেছিলেন এক মা। এবার উঠে এলো অন্য এক নারীর লড়াই। সেই মা না হয় যন্ত্রচালিত স্কুটি চালিয়েছিলেন। এক কিশোরী নিজের শরীরের শক্তি ব্যয় করে, সাইকেলের পিছনে বাবাকে বসিয়ে প্যাডেল করে পাড়ি দিয়েছে ১২০০ কিলোমিটার রাস্তা। লকডাউনের কারণে পরিযায়ী শ্রমিকরা যখন বাড়ি ফিরতে শতশত কিলোমিটার পাড়ি দিচ্ছে, তখন অসুস্থ বাবাকে সাইকেলের পেছনে বসিয়ে কিশোরীর ১২০০ কিমি পাড়ি দেবার খবর আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
লকডাউনের কারণে গুরাগাঁওয়ে আটকে পড়েন জয়তি এবং তার বাবা। উপায় না দেখে অদম্য মেয়ে বাবাকে বলে তার পেছনে সাইকেলের ক্যারিয়ারের ওপর বসতে। এরপর টানা সাতদিন সাইকেলের প্যাডেল ঘুরিয়েছেন জয়তি কুমারি। অবশেষে ১২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পৌঁছান বিহারে নিজ বাড়িতে। কিশোরী জয়তির এই অসীম সাহসের কাহিনী ছড়িয়ে পড়েছে মুহুর্তে। ভারতের কেন্দ্রীয় সাইক্লিং ফেডারেশন আগামী মাসে তাদের ন্যাশনাল ক্যাম্পে ট্রায়ালের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে অদম্য তারুণ্যের অধিকারী জয়তি কুমারিকে।
ভারতের সাইক্লিং ফেডারেশনের সভাপতি অঙ্কর সিং পিটিআইকে বলেন, ‘যদি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জয়তিকুমারি ট্রায়ালে টিকতে পারে, তাহলে তাকে ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে ন্যাশনাল সাইক্লিং একাডেমির একজন ট্রেইনি হিসেবে নেয়া হবে।’ অঙ্কর সিং আরও বলেন, ‘আমরা সকালেই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে বলেছি, আগামী মাসে রাজধানীতে আমাদের যে ন্যাশনাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেখানে তাকে ডাকা হচ্ছে। তবে সরকার যদি লকডাউন তুলে নেয়, তাহলেই অনুষ্ঠিত হবে ক্যাম্পটি। না হয়, লকডাউন পরবর্তী সময়ে যখনই ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হবে, তখনই তাকে ডেকে নেয়া হবে।