দেশ

আগামী প্রায় এক মাস কি কি বন্ধ থাকবে? আর আপনার কি কি করা উচিত নয়, তাই নিয়েই বিশেষ প্রতিবেদন।

বিশেষ বৈঠকের পর করোনা রুখতে বেশ কিছু নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
১.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সাথে আইসিডিএস স্কুল গুলি বন্ধের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল গুলি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আগেই।এবার তার সময়সীমা আরো কিছু দিন বাড়িয়ে ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আইসিডিএস বাচ্চাদেরকে মিড ডে মিল বন্ধ থাকার কারণে দু কেজি চাল এবং দু কেজি আলু দেবার ব্যবস্থা করলেন।

২. সমস্ত ধর্মস্থান গুলিকে বিশেষ ভাবে আবেদন জানালেন। যাতে করে ধর্ম প্রতিষ্ঠানগুলিতে জমায়েত এড়ানো যায়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ধর্ম প্রতিষ্ঠান মন্দির, মসজিদ, চার্চ, গুরুদুয়ার সহ সমস্ত ধর্ম স্থানগুলির অথরিটিকে এ বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য আবেদন জানালেন। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানালেন বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষকে। মঠ কর্তৃপক্ষ যে ভবে জমায়েত বন্ধ রাখার যে নির্দেশ জারি করেছেন ঠিক সেভাবেই সমস্ত ধর্মস্থান গুলিতে জমায়েত বন্ধ করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন।

৩. সমস্ত ক্লিনিক গুলিকে বিশেষভাবে আবেদন জানিয়েছেন তারা যেন কোনো রোগীকে ফিরিয়ে না দেন। বিশেষভাবে যত্নসহকারে প্রত্যেককে চিকিৎসা করেন এবং ভাইরাসের সংক্রমনের ব্যাপারে কোনরূপ কোন ঘটনা ঘটলে তারা যেন ঐ রোগীর ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে পাঠান। ক্লিনিকে থাকা চিকিৎসক এবং সহ চিকিৎসকরা যেন মাক্স,ও করোনা এড়াতে বিশেষ পোশাক এবং সেনিটাইজার ব্যবহার করেন।
৪. ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত সমস্ত রিয়েলিটি-শো, অডিটোরিয়াম, স্টেডিয়াম গুলি বন্ধ রাখার আর্জি জানালেন। ৩১ শে মার্চের পর এই অবস্থা ভিন্ন হলে তখন চিন্তা ভাবনা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন প্রশাসন।
৫. বিভিন্ন জায়গায় কর্তব্যরত শ্রমিকদের, শপিংমলে শ্রমিক থেকে শুরু করে চা বাগানের শ্রমিক পর্যন্ত যাদেরকে কাজ চালাতেই হবে, তাদের জন্য স্যানিটাইজার এবং মাক্স এর ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন কর্মকর্তাদের কাছে।
৬. করোনার কারণে ২০০ কোটি টাকা তহবিলে জমা করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে।

৭. তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন দেশ-বিদেশ থেকে যে সমস্ত বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনরা ওয়েস্ট বেঙ্গলে প্রবেশ করবেন, তারা যেন অবশ্যই করোনা টেস্ট করিয়ে নেন। কারণ করোনায় আক্রান্ত হলে সাধারণ উপসর্গ না দেখা দিলেও, তার করোনা হতেই পারে। কারণ করোনা সংক্রমণ অাক্রান্ত হবার ২৭ দিন থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত এই রোগ সংক্রমণ ঘটেছে শরীরের মধ্যে। তাই দেশ-বিদেশ থেকে আগত মানুষদের করোনা টেস্ট করার জন্য আবেদন জানালেন। প্রতিটি মানুষকে স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হবার জন্য বিশেষভাবে আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা ঠেকাতে বিশেষ তৎপরতা নিয়েছেন কেন্দ্র থেকে রাজ্য। এখন দেখার এই সংক্রমণ কত দ্রুত প্রতিহত করা যায়।

Loading

Leave a Reply