রাজ্য

আমলারা ঠিক করবে করোনাই মৃত্যু কিনা,ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

সারাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বারো হাজার ছাড়িয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা মোটামুটি বেশ কয়েকদিন ধরেই এক জায়গাতে স্থির আছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গোটা রাজ্যের মানুষ ধোঁয়াশায় ভুগছেন। আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাচ্ছেন কিনা তা এই মুহূর্তে বলার অধিকার ওই রোগীকে যে চিকিৎসক দেখছিলেন তার আর নেই। কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ঠিক করবে একটি নির্দিষ্ট কমিটি। আর এই জায়গা নিয়ে ক্ষোভ তৈরী হচ্ছে চিকিৎসকদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই তারা অনেকেই বলতে শুরু করেছেন চিকিৎসা করবেন চিকিৎসকরা মৃত্যুর কারণ ঠিক করবে আমলারা এ কি করে হয়? এ তো অনেকটা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির খাতা দেখার মত বিষয়।বুধবার এক সাক্ষাৎকারে ঠিক এইভাবেই ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন।



তাঁর বক্তব্য নিয়মিত কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যসরকারের কাছে থেকে শুনছেন সঠিক চিকিৎসা ইত্যাদির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে কই? চিকিৎসকরা লড়ে যাচ্ছেন তাঁদের সাধ্যমত। কিন্তু তাঁদের কাছে যদি লড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী না থাকে তাহলে কীভাবে কাজ করবেন তাঁরা?শুধু তাই নয় একজন কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে সব চিকিৎসককে স্বাভাবিকভাবেই চলে যেতে হচ্ছে আইসোলেশনে। তাঁর আরও বক্তব্য এভাবে চললে এর পরে আর চিকিৎসা করার লোক থাকবে না। এর কারণ একটাই। টেস্ট হচ্ছে না যথেষ্ট। সেই কারণেই একজন সম্ভাব্য রোগীর সংস্পর্শে আসছেন এতজন চিকিৎসক। পুরো বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকদের একাংশ রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি আইসিএমআর এই মুহূর্তে ২০ টি ল্যাবভাড়া নিয়ে রেখেছে করোনা পরীক্ষার জন্য। এদের পরীক্ষা করার আনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু সামগ্রিকভাবে পরীক্ষা অত্যন্ত কম হচ্ছে। সবমিলিয়ে চিকিৎসক ও চিকিৎসক সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ প্রকাশ্য আসছে। যদিও এর আগে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার সরঞ্জাম এর দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তা যথেষ্ঠ চিন্তার বলেই মনে করছেন একাধিক চিকিৎসক।


Loading

Leave a Reply