নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ- ঘূর্ণিঝড় আম্পান মঙ্গলবার শেষ রাত বা বুধবার বিকালের বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম কক্সবাজার এলাকায় ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। উপকূলের ১৯ জেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রক উপকূল অঞ্চলে ৭ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে। মঙ্গলবার থেকে উপকূলের বাসিন্দাদের সেখানে সরিয়ে নেওয়া হবে। তাদের নিরাপত্তা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত এবং শুকনো খাবারের যতেষ্ট যোগান রয়েছে।
এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে চলেছে এবং উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এটি মঙ্গলবার দিবাগত ভোররাতে অথবা বুধবার খুলনা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উপকূল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। উপকূলীয় ১৯টি জেলার প্রশাসকরা সার্বক্ষণি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফনি-তে ১৮ লাখ এবং বুলবুলের সময় ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এবারে ৩০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে, ৭ নম্বর সংকেত জারির পরই উপকূল এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। আম্পানের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। যার কারণে বহির্নোঙ্গরে থাকা পণ্যবাহী জাহাজের খালাস বন্ধ রেখেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তপক্ষ।