লকডাউন এর জেরে আপাতত অধিকাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে উঠেছে। ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের এখন সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে যাদের মাস শেষ হলেই ব্যাংকের ইএমআই দিতে হয় তাদের অনেকেরই অবস্থা সঙ্গীন হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি থেকে মানুষকে রেহাই দিতে কিছুদিন আগেই আরবিআই ঘোষনা করেছিল আগামী তিন মাস ইএমআই কাটবে না বলে।কেবলমাত্র ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রে টাকা পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু আরামবাগে অভিযোগ উঠছে নির্দেশিকায় সার।
আসলে অধিকাংশ ব্যাংক ইএমআই কাটছে। যে কোন পার্সোনাল লোন এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তারিখে ইএমআই কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে মোবাইল, ফ্রিজ বা অন্যান্য জিনিসপত্র যারা মাসিক কিস্তিতে কিনেছিলেন তাদের অধিকাংশই বলছেন যথারীতি নির্দিষ্ট সময়ে ইএমআই কেটেছে। আবার গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে যারা নির্দিষ্ট সময়ে ইএমআই জমা করে নি তাদের কাছে রীতিমতো মেসেজ গেছে ইএমআই ও অতিরিক্ত সুদ একসাথে দিতে হবে বলে। যারা মাসিক কিস্তিতে বাইক কিনেছেন তাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতারা প্রশ্ন তুলেছেন তাহলে ঘটা করে এত বড় বড় ঘোষণা কিসের ?
এতে করে সাধারণ মানুষ বেশি হেনস্থা হচ্ছে। যদি আরবিআই ঘোষণা না করত তাহলে অনেকেই চেষ্টা করতেন ইএমআই-এর টাকা যেকোনো ভাবে পরিশোধ করতে। বাস্তবে আরবিআই ঘোষণা করলো এক আর আরামবাগ মহকুমা জুড়ে ঘটছে আর এক ঘটনা। এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিভিন্ন ধরনের উত্তর আসছে।অনেকে বলছেন তাদের কাছে এরকম কোন নির্দেশিকা এখনো এসে পৌঁছায়নি। আবার কেউ কেউ বলছেন ইএমআই পরিশোধ না করলে তাদের লিখিতভাবে জানাতে হতো।
যারা জানান নি তাদের ক্ষেত্রে ইএমআই কাটা হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য গ্রাহকরা বলছেন তাদেরকে যে লিখিতভাবে ব্যাংকে জানাতে হবে এই ঘোষণা করা হয়েছে বলে তারা জানেন নি। অনেক কোম্পানি আবার এইসব নিয়ম নীতি কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না। তারা পরিষ্কার বলছেন যাদের যেমন ইনস্টলমেন্ট তেমন ভাবেই দিতে হবে। এই বিষয়ে প্রশাসনও ধোঁয়াশায়। স্বাভাবিকভাবে ইএমআই নিয়ে সাধারণ মানুষ তিতিবিরক্ত।