রাজ্য সরকার ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় ফেরত শ্রমিকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনা হবে ঘোষণা করেছিল। সেই মোতাবেক বুধবার হুগলি জেলাশাসকের নির্দেশে বিভিন্ন দেশের প্রান্ত থেকে বাড়ি ফেরা শ্রমিকদের হাতে ১০০ দিনের কাজের কার্ড তুলে দিল প্রশাসন। আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ব্লকে এই কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর আরামবাগ ব্লকের সালেপুর দু নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় ব্লকের মোট ৪টি পঞ্চায়েতে ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরা মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হল এই কার্ড একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। উপস্থিত ছিলেন আরামবাগের মহকুমা শাসক নৃপেন্দ্র সিং, বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়া, পঞ্চায়েত প্রধান সনজিত অধিকারী সহ অন্যান্যরা। এ বিষয়ে মহকুমা শাসক বলেন বাংলার মানুষ বাড়িতে ফিরেছে । তাদের পরিযায়ী শ্রমিক বলতে তাঁর কষ্ট হয়। রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটি শ্রমিককে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার। এদিন আরামবাগ মহকুমার প্রতিটি ব্লকে বাংলার মানুষদের ১০০ দিনের কাজে কার্ড দেওয়া হল। এটি শুধু একদিনই নয় ধারাবাহিকভাবেই চলতে থাকবে বলেও জানিয়েছেন মহকুমাশাসক।
অন্যদিকে বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য্য বলেন এদের মূলত চারটি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষদের নিয়ে কাজ বিতরণ করা হল। আগামী দিনে প্রশাসনিকভাবে প্রত্যেকটি মানুষের হাতে এই কার্ড তুলে দেওয়া হবে। আরামবাগের পাশাপাশি গোঘাট দুনম্বর ব্লকের কামারপুকুর পঞ্চায়েতের উদ্যোগেও এদিন ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্যসামগ্রীর পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের কার্ড দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন বিডিও অভিজিৎ হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি, পঞ্চায়েত প্রধান তপন মন্ডল সহ অন্যান্যরা। পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্য সরকারের এহেন উদ্যোগে খুশি বলে জানিয়েছেন।
গোঘাট ১ ব্লকের পক্ষ থেকে গোঘাট পঞ্চায়েতের উদ্যোগেও একই কর্মসূচি নেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন বিডিও সুরশ্রী পাল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল, কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন চন্দ্র পাঁজা, প্রধান মনীষা সেন সহ অনান্যরা।
পঞ্চায়েত প্রধান তপন মন্ডল বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের পাশে রয়েছেন। এই মহামারির পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বাড়ি ফেরা বাংলার শ্রমিকদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে এদিন ১০০দিনের কাজের কার্ড দেওয়া হল। অন্যদিকে, বিডিও জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের নির্দেশমতোই সমস্ত কিছু করা হচ্ছে।