স্বাস্থ্য

এই কাজটি করলেই করোনা সংক্রান্ত ডিপ্রেশন দূর হতে পারে আপনার।

করোনা সংক্রমণের জেরে গৃহবন্দি সকলেই। সারাদিন বাড়িতে বসে বসে বোর হচ্ছেন, বিরক্তি অনুভব করছেন। কিন্তু আপনার সমস্ত কিছু ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে জেনে নিন এই প্রক্রিয়া। সফলতা পাওয়ার জন্য এবং স্বাভাবিকভাবে নিজের মন এবং মস্তিস্ককে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবার শুরু করুন মেডিটেশন।

কেন করবেন মেডিটেশন! বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে এর মাধ্যমে আমাদের রাগ, হিংসা, ডিপ্রেশন প্রভৃতি নেগেটিভ ইমোশন গুলোকে আমরা কন্ট্রোল করতে পারি, কাজ করার ধৈর্য্য বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়। একমাস করে দেখুন এই মেডিটেশন। ফল পাবেনই। কথায় কথায় রেগে যাচ্ছেন? কাল দেখবেন এত সহজে রাগ হচ্ছে না। একটি পরীক্ষায় কিছু মানুষের মধ্যে ফ্লু ভাইরাসের আক্রমণ করানো হয়, যারা মেডিটেশন করে তাদের মধ্যে দেখা যায় অ্যান্টিবডি অটোমেটিক তৈরি হয়ে গেছে। তাদের শরীরে দেখা গেছে বেশি সংখ্যক অ্যান্টিবডি। অর্থাৎ শারীরিক ক্ষেত্রেও মেডিটেশন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়ায় মেডিটেশন।

মেডিটেশন কীভাবে করবেন?
নিজের মাথাকে শান্ত রাখুন। বাড়ির মধ্যে বা বাইরে, যেখানে বাইরের আওয়াজ খুব কম এবং পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত সেখানে শুরু করুন মেডিটেশন। চেয়ারে, মাটিতে বা শুয়ে যে কোনও প্রকারে করতে পারেন। তবে মাটিতে বসে পিঠ সোজা করে করাটাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। এটা খেয়াল রাখবেন আশেপাশে আপনার মনকে ডাইভার্ট করার মতো কোন ঘটনা যেন না ঘটে। প্রথম দিকে নিজের ফোনে ১০ মিনিটের অ্যালার্ম সেট করুন। হালকা কোনও মিউজিক চালাতে পারেন। তবে, শুধু মিউজিক শুনতে হবে কোনও গান নয়। আপনার ফোনকে ফ্লাইট মোডে করে দিন, না হলে ফোন এলে আপনার সংযমে ব্যাঘাত ঘটবে। চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিন আর ছাড়ুন। কীভাবে শ্বাস নিচ্ছেন সেদিকে নজর রাখুন। এবার আপনি কিছুক্ষণ পর ডিস্টার্ব ফিল করতে পারেন। এটাকে মাঙ্কি মাইন্ড বলে। যেমন মনের মধ্যে আপনি ভাবতে পারেন ফোনে কোনও এসএমএস এল কিনা দেখি, বাইরে যেন কিসের শব্দ হল, আপনাকে এই মাঙ্কি মাইন্ড কন্ট্রোল করতে হবে। মনোযোগকে হৃদস্পন্দনে ফিরিয়ে আনুন। এরপর শান্তি অনুভব করুন। এই শান্তি অনুভব করাতেই আপনি শান্ত হতে পারবেন। পরে আপনি কিছু না ভেবেই কম পক্ষে কুড়ি মিনিট থাকতে পারবেন। প্রথম প্রথম যদি আপনি সংযত ও ধৈর্য্য ধরে নির্দিষ্ট টাইমে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় মেডিটেশন করেন তো আপনি সফল হবেনই। কিন্তু দুদিন করে ছেড়ে দিলে আপনি ভুল করবেন।

মেডিটেশনের ফলে ব্রেনের সাইজ বাড়ে। পজিটিভ দিক বাড়ায়। চিন্তাশক্তি, ভাবনা, বৃদ্ধি পায়। ব্যর্থ চিন্তাভাবনা বন্ধ হয়। ইমোশন বা ফিলিংস কন্ট্রোল করতে পারবেন আপনি। নিজের থেকেই ফোকাস বা কন্সেন্ট্রেশন বাড়ায়। আপনার ব্রেনকে আপনি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। অনেকটা ব্রেনের সুইচ অফ্ এবং অন্ আপনার হাতে চলে আসবে মেডিটেশনের ফলে। চলুন আজ থেকেই প্রত্যেকে শুরু করে দিন মেডিটেশন। বাচ্চা থেকে বয়স্ক প্রত্যেকে সফল হবেন মেডিটেশনে। পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়বে শিক্ষার্থীদের। কাজ করার এনার্জি এবং মনের জোর বাড়বে কর্মরত মানুষদের। আর বয়স্করা বাড়িতে বসে অধৈর্য্য হচ্ছেন, তাদের ধৈর্য্য শক্তি বাড়বে। খিটখিটে মেজাজ থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন সকলে। এছাড়া সুস্থ হবে পারস্পরিক সম্পর্কও।

Loading

Leave a Reply