দেশের অর্থনীতি চরম নিম্নমুখী। দেশে দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা লোকের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। তার পরেও এই তথ্য জানলে চোখ কপালে উঠবে, এই ভারতবর্ষে এমন একটি গ্রাম আছে যে গ্রামে প্রত্যেকটি মানুষের বাৎসরিক আয় ৭৯থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা। কি মনে করছেন এই গ্রামে কেবলমাত্র শিল্পপতিরা বাস করেন? অথবা বড় বড় চাকুরীজীবির? ভুল ভাবছেন। একেবারেই তা নয়। এই গ্রামে যারা বসবাস করেন তারা প্রত্যেকেই চাষী। চাষবাস এই এদের পেশা।হিমাচল প্রদেশের মাদাভাগ গ্রাম। সিমলা তো অনেকেই বেড়াতে যান। সেই সিমলা শহর থেকে ৯২ কিলোমিটার দূরের এই গ্রাম অবস্থিত। ২০১৯ সালে এই মাদাভাগ ভারতের সবচেয়ে ধনী গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
অথচ অবস্থাটা এইরকম ছিল না। বদলটা আসে ১৯৯০ সালে। পরিবর্তন নিয়ে আসে সোনার আপেল। বিষয়টা একটু খোলসা করে বলা যাক। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অবশ্য এই গ্রামে আপেল চাষ হত না। তার পরের বছর গ্রামের এক চাষী প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা শুরু করেন। বাকিটা ইতিহাস।দেখা যায় মাদাভাগ-এর মাটিতে যাদু আছে। রয়েল অ্যাপল, রেড গোল্ড, গেইল গালার – বিশ্বের অন্যতম সেরা মানের আপেলগুলির চাষ হয় এই গ্রামে। মাদাভাগ আপেল আকারেও খুব বড় হয়। এই আপেলগুলি মান এত ভালো যে অনেকদিন পর্যন্ত সতেজ থাকে। তাঁর সাফল্য দেখে একে একে গ্রামের সকলেই এই পেশায় চলে আসেন। প্রতি বছর শুধুমাত্র এই গ্রামে প্রায় ৭ লক্ষ বাক্স আপেল উৎপাদিত হয়। আর গত তিন দশকে এই আপেলের জোরেই গ্রামের প্রতিটি চাষী পরিবার ধনী হয়ে উঠেছে। আর সন্তানস্নেহে যত্ন নেন বাগানের প্রতিটি আপেল গাছের।