কলকাতা সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভার নির্বাচন এপ্রিল মাসেই করতে চায় রাজ্য সরকার। যদিও কলকাতা পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৮ মে। প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকার এপ্রিলের মাঝামাঝি অর্থাৎ প্রথমে কলকাতা পুরসভা ও তার ফলাফল ঘোষণার পরেই বাকি ১১১টি পুরসভার নির্বাচন করার কথা ভাবছে। তবে রমজান মাস শুরুর আগে পুরভোট সম্পূর্ণ করতে চায় সরকার। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রমজান মাস শুরু হবে ২৪ অথবা ২৫ এপ্রিল। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রমজান মাস চলাকালীন ভোট করানোর বিরোধী। এক মাস ধরে সংখ্যালঘুদের পরব চলবে। তারপরেই বর্ষা এসে যাবে।
তখন সমস্যায় পড়তে হবে। কিন্তু কেন আগে কলকাতা পুরসভার ভোট পরে অন্য পুরসভা? শোনা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কৌশলী ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের চিন্তাভাবনা এটি। কারণ তিনি নিশ্চিত লোকসভা ভোটের পর থেকেই দল কলকাতায় যেভাবে জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়েছে তাতে পুরভোটে অনেক ভালো ফল করা সম্ভব হবে। বিরোধী বিজেপি বা বাম-কংগ্রেস কর্মীরা শহরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য কিছু করে দেখাতে পারেনি। কলকাতা ভোটের পরে সেই ফলাফল সামনে রেখে বাকি পুরসভা গুলির জন্য প্রচারের কাজও অনেকটাই সহজ হবে।
জেলাগুলিতে দলীয় কোন্দল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করা যাবে কলকাতা ভোটের ফলাফল দেখিয়ে। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় এখন বিজেপি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এলাকায় বাম কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের মদত রয়েছে বিজেপি পিছনে। হাওড়া ও বিধাননগর কর্পোরেশন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের ১৭টি পুরসভার মেয়াদ এক বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। যদিও রাজ্যের শাসক দল পুরসভার ভোট একসঙ্গেই করতে চায় বলে বিশেষ সূত্রে খবর।