শ্যামলেন্দু গোস্বামী :- করোনার জেরে সারা দেশজুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৬। ক্রমশ এই ভাইরাসের থাবায় একপ্রকার গৃহবন্দি হয়ে উঠেছেন দেশবাসী। বিভিন্ন বেসরকারি দপ্তর বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একপ্রকার অঘোষিত বন্ধের চেহারা নিয়েছে সারা বিশ্ব। আর এই করোনা আতঙ্কের জেরে আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় ঘোষিত রক্তদান শিবির বাতিল করেছেন উদ্যোক্তারা। আর এর জেরেই আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকে রক্তের জন্য হাহাকার চলছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীর পরিবারের লোকজন রক্ত না নিয়েই বাড়ি ফিরছেন। চরম সংকটে হাসপাতালে ভর্তি থাকা থালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুরা পরিবারের লোকেরাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি থাকা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক শিশুর মা বলেন, দুই থেকে তিন দিন ধরে রক্ত সংকট দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালে রক্ত বিভাগেও কোন রক্ত মেলেনি। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে করে বোধ হয় রক্ত সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
অন্যদিকে আরামবাগের সাতমাসার পরেশ হালদারের ছেলে ও মৌসুমী খাঁটি বলছেন আগে বলছেন রক্ত সংকট এর জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। ব্লাড ব্যাংকে যোগাযোগ করা হলে ব্লাড ব্যাংক থেকে পরিষ্কার জানানো হচ্ছে রক্ত ব্যাংকে রক্তের জোগান নেই, স্বাভাবিকভাবে রক্ত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে, রক্তদান শিবির বাতিল করতে আসা আরামবাগের এক উদ্যোক্তা বলেন, করোনার জেরে গোটা দেশ আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। বেশি জমায়েত হতে দেওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে রক্তদান শিবির বাতিল করা হল। কিন্তু ব্লাড ব্যাংকের যা পরিস্থিতি তাতে চরম সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সব মিলিয়ে করোনা আতঙ্কের জেরে প্রবল রক্ত সংকটে ভুগছে আরামবাগ মহকুমা ব্লাড ব্যাংক।