করোনা লড়াইয়ে প্রধান সেনা হলেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ।কিন্তু হায়দ্রাবাদ ও মধ্যপ্রদেশে উঠে এলে অসন্তোষের ছবি। ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের ও জনতার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ভাঙচুরের চেষ্টা হয়েছে হাসপাতালেও বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, হায়দরাবাদের গান্ধী হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যুকে ঘিরেই ঘটনার সূত্রপাত। এক সপ্তাহ আগে ৪৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। তাঁর চিকিৎসা চলছিল গান্ধী হাসপাতালে। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার পরে নানা রোগে জর্জরিত হয়ে উঠেছিলেন ওই রোগী। তাঁর শরীরের একাধিক অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। চিকিৎসায় তেমনভাবে সাড়া দিতে পারছিলেন না। রোগীর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই হাসপাতালে চড়াও হন তাঁর পরিবারের লোকজন। গান্ধী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ডাক্তারদের মারধরের চেষ্টা করা হয়। হামলা চালানো হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরেও। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, তাত পাত্তি এলাকায় ৫৪টি পরিবারকে হোম-আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আরও কয়েকটি পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অসন্তোষ দানা বাঁধে এখান থেকেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসা করছেন ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্ক্রিনিং করতে এসে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে, এমন অভিযোগও উঠেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় পৌঁছালে তাদের দিকে ইট-পাথর ছুঁড়তে শুরু করে এলাকাবাসী। মারধরের চেষ্টা হয় ডাক্তারদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্ধার করে পুলিশ। মধ্যপ্রদেশ ও হায়দরাবাদের ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতর। তেলঙ্গানা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল বলেছেন, গান্ধী হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আরও বেশি ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে বহাল করা হবে।
(ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড়)