ঋদি হক, ঢাকা:-বাংলাদেশে মোট আক্রান্তের ৩৩৮২ জনের মধ্যে ১১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ চিত্র ৪৫ দিনের। আর আক্রান্তর ১ হাজার ১৭৪ জনই ঢাকা মহানগরীর বাসিন্দা। মঙ্গলবার সর্বশেষ স্বাস্থ্য বুলেটিনে এতথ্য জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৭টি জেলা লকডাউনের আওতায় রয়েছে। আজও নতু করে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে ৯জন। করোনায় মৃত্যুর দিন গণনা শুরু হয়েছিলো ১৮ মার্চ। আক্রান্তদের তালিকায় রয়েছেন, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সংবাদকর্মী ও ম্যাজিস্ট্রেটসহ তিনশতাধিক। ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ১২৮টি নমুনা সংগ্রহের ২ হাজার ৯৭৪টি পরীক্ষা হয়েছে। তাতে ৪৩৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। এপর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৭ জন। সামাজিক সংক্রমণের কারণে ১৬ এপ্রিল করোনা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ ঘোষণা করে সরকার। কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রমজানে ঘরেই তারাবির নামাজ আদায়ের পরামর্শ দেয়া হয়। মারণ ভাইরাসের এখনও পর্যন্ত কোন প্রকার প্রতিষেক আবিষ্কার হয়নি। সেহেতু সামাজিক দূরত্বই একমাত্র দাওয়াই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ দূত ডেভিড নাবারোও বলছেন, খুব শীঘ্রই করোনাভাইরাসের কার্যকরি প্রতিষেধক মিলবে এমনটা মনে হয় না। মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জীবনযাপন শিখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সেনাবাহিনীও দায়িত্ব পালন করছেন। চলছে মাইকিং। এরপরও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলোয় থাকছে উপচে পড়া ভীড়। করোনা শনাক্ত পরই সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত আইনের কঠোর প্রয়োগ হলে আজকের এই ভয়ঙ্কর পরিণতি হতোনা। অবস্থায় দেশ রক্ষায় কঠোর আইন প্রয়োগের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য আইন বিশেষজ্ঞদের।