সমগ্র বিশ্বের সাথে সাথে ভারতেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সমস্ত মানুষ বাড়ির মধ্যে আছে। সকলেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আর এই আতঙ্কেই এক ভয়ঙ্কর পরিণতি ঘটে গেল এক প্রৌঢ়ের। হরিয়ানার কর্নাল শহরের কল্পনা চাওলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ লা এপ্রিল করোনার লক্ষ্য নিয়ে ভর্তি হন পানিপথের বাসিন্দা শিবচরন নামে এক প্রৌঢ়। সোমবারে তিনি হাসপাতাল থেকে পালাতে গিয়ে, পড়ে গিয়ে প্রাণ হারালেন। জানা গেছে করোনার লক্ষণ থাকার জন্য তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। অাদেও তাঁর করোনা পজিটিভ কিনা তা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু তিনি ভীষণভাবে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে পালাতে গিয়ে, সাত তলা উপর থেকে নিচে পড়ে যান এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকাকালীন সাত আটটি বিছানার চাদর কে বেঁধে উপর থেকে নিচে ঝুলিয়ে চাদর বেয়ে পালাতে যান। আর তখনই ঘটে বিপর্যয়। চাদরের ফাঁস খুলে গিয়ে নিচে পড়ে যান তিনি।
ডেপুটি কমিশনার নিশান্ত কুমার যাদব জানান পানিপথের বাসিন্দা শিবচরন বাবু করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা জানার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে করোনার কিছু লক্ষণ তার শরীরের মধ্যে ছিল। সেকারনেই তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। সোমবার সকালে তিনি হঠাৎ বিছানার চাদর বেঁধে পালাতে যান তখনই পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
কর্নাল এর প্রধান চিকিৎসক জানান গতকাল করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৮ বছরের এক ব্যক্তির পিজি আই এম এ ভর্তি থাকাকালীন মৃত্যু হয়। এই নিয়ে হরিয়ানায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ ছাড়িয়েছে।
এর আগে পাঞ্জাবের অমৃতসরে বাসিন্দা দুই বৃদ্ধ দম্পতি করোনা আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছিলেন। করোনার কিছু লক্ষন থাকায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে অাত্মহত্যা করেন। ঘরের মধ্যে থাকা সুইসাইড-নোটে অাত্মহত্যার কারন করোনাই, তা লিখে রেখেছিলেন।
এখন পর্যন্ত পাঞ্জাবে করোনায় আক্রান্ত ৬৪, হরিয়ানায় অাক্রান্ত ৮৪, ভারতে অাক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১০৯ জনের।