করোনা মানুষকে কত কি শিক্ষা দিচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। স্বজন হারানোর কান্না আজ পৃথিবীর চৌকাঠে। কিন্তু যখন ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেই সদ্যজাতর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় তার বাবা-মাকে তখন বোধহয় সৃষ্টির নির্মমতা দুঃসহ হয়ে ওঠে। কিন্তু এমনই ঘটনা ঘটলো কলকাতার মেডিকেল কলেজে। জন্মের পরেই তার কাছ থেকে করোনার গ্রাসে আলাদা হয়ে গেল তার বাবা মা। মেডিকেল কলেজের এস এন সি ইউ তে একা একাই হাত-পা ছুঁড়ে খেলা করছে শিশুটি। চিকিৎসকরা এই শিশুর নাম দিয়েছেন আলাদিনের প্রদীপ।জন্মের পর সদ্যোজাত রবির পায়ু দ্বার বন্ধ ছিল। সেই কারণে মেডিক্যাল কলেজের গ্রিন বিল্ডিংয়ে পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগে তার অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের পর দেখতে এসেছিল বাবা। কিন্তু তারপরই জানা যায়, ওই শিশুর বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি বাবা।
এরপর ওই শিশুর মায়ের রিপোর্টও পজেটিভ আসে। দেখা যায়, মা পিঙ্কি দেবীর শরীরেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে। তাঁকেও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুর কাছ থেকে। করোনায় আক্রান্ত ওই শিশুর মা এখন SSB-তে চিকিৎসাধীন। বাবা-মা দুজনেই চিকিৎসাধীন থাকায় একাই খেলা করছে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ। এখন সকলের প্রার্থনা কোন এক আশ্চর্য প্রদীপের বলেই পৃথিবী আবার আগের মত হয়ে উঠুক। রবি তার নিজস্ব কিরণ নিয়ে ফিরে যাক মায়ের কোলে।