সারাবিশ্বে করোনা অতিমারির আকার ধারন করেছে। ভারতবর্ষে প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও এই মুহূর্তে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থতার হার। তারপরেও সারা দেশজুড়ে এখনও আতঙ্ক গ্রাস করে আছে। এখনো পর্যন্ত সেভাবে এই রোগের কোন ভ্যাকসিন বা ওষুধ বাজারে আসেনি। যদিও রাশিয়া দাবি করছে তারা ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছে। কিন্তু ভারতের সাধারণ মানুষ কবে করোনার ভ্যাকসিন পাবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো খবর এখনো পর্যন্ত নেই। বিশ্বজুড়ে যখন এই পরিস্থিতি তখনই চমকে দেওয়ার মতো খবর পাওয়া যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের ক্ষেত্রে। পোলিও থেকে শুরু করে যক্ষা, বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে নাজেহাল হতে হয়েছিল পাকিস্তান সরকারকে।করোনার ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে ইমরান খানের পদত্যাগের দাবি ওঠে। পাকিস্তানের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ যথেষ্ট কম। পাশাপাশি দুর্বল আর্থিক পরিকাঠামোর জন্য ইমরান সরকার সেভাবে লকডাউন করতে পারেনি। তার পরেও প্রায় করোনা জয়ের পথে পাকিস্তান।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে পাকিস্তানে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দৈনিক 10 এরও নিচে নেমে গেছে এবং বর্তমানে পাকিস্থানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র তিন লক্ষ। প্রসঙ্গত, এর আগে অন্যান্য অসুখ যেমন- পোলিও, হেপাটাইটিস, যক্ষ্মার মত সংক্রামিত রোগ আটকাতে গিয়ে পাকিস্তান সরকারকে রীতিমত নাজেহাল হতে হয়েছিল। তার সাথে সাথেই আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তান হয়েছিল চূড়ান্ত সমালোচনার শিকার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিকে হেলায় হারিয়ে দিয়ে পাকিস্তান কিভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলো তা নিয়ে রীতিমতো তত্ত্বতালাশ শুরু করেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি।
যদিও পাকিস্তান দাবি করছে, সে দেশের যুবশক্তি বেশি থাকার ফলে মহামারী তাঁদের কাবু করতে পারেনি। আবার অনেকেই বলছেন, পাকিস্তানের প্রাকৃতিক পরিস্থিতির জন্য করোনা ছড়াতে পারেনি। যদিও তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে পাকিস্তানে কিভাবে করোনা সংক্রমণের হার কমে গেলো, তা নিয়ে অবশ্য ধন্দে সেদেশের চিকিৎসকরাই। এর কোনও সঠিক কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়