মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য দপ্তরের সমস্ত কিছু খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন। তিনি জানান করোনা একটি চ্যালেঞ্জ আর আমরা সেই চ্যালেঞ্জে জিতব। তিনি বেশকিছু নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এই বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বেলেঘাটায় আইসোলেশন বেড অারও ১০০ টি বারানো হচ্ছে। আরজিকর হাসপাতালে বেড়েছে ৫০ টি অাইসোলেসন বেড। বাঙ্গুর হসপিটালের বেড়েছে ১৪৫ টি বেড। বেলেঘাটার কাছাকাছি যে নার্সিংহোম গুলি আছে সেগুলোতেও আইসোলেশন এর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছারাও বিভিন্ন জেলার নার্সিংহোম গুলিতে অাইসোলেসন ব্যাবস্থা এবং যথাযথ চিকিৎসা করার অনুরোধ করেন। তিনি অারও জানান তিনশটি ভেন্টিলেশন মেশিন বরাদ্দ করা হবে। দু লক্ষ মাক্স এবং গ্লাভস অর্ডার দেওয়া হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি সেগুলি হাতে পাবেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এছাড়া নার্সদের জন্য দু’লক্ষ সংক্রমণ প্রতিরোধক ড্রেস এবং মাক্স বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালে পাঁচটি করে অ্যাম্বুলেন্স থাকতে হবে। অ্যাম্বুলেন্স গুলিকে যথাযথভাবে স্যানিটাইজারিং এর ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বিশেষভাবে অনুরোধ করছেন গুজবে কান না দেওয়ার জন্য এবং গুজব ছড়ালে পুলিশ তার যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
দোকান বাজার খোলা থাকলেও বেশি ভির না করার অনুরোধ করেন তিনি। সমস্ত আইসিডিএস সেন্টার গুলিতে গরিব মানুষদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ চাল বরাদ্দ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান সীমান্ত সীল হয়ে গেলেও যথেষ্ট পরিমান খাদ্য মজুদ আছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন এখন ব্যবসা করার সময় নয় মানুষের পাশে দাঁড়ান। মাক্স এবং স্যানিটাইজার নিয়ে যেরকম ভাবে কালোবাজারি চলছে সেটি বন্ধ করতে বলেন তিনি। আগামী দু সপ্তাহ বিশেষভাবে সতর্ক হয়ে থাকার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। প্রতিটি জেলায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি অবজারভেশন করার জন্য জেলা ভিত্তিক উচ্চপদস্থ কর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সীমান্তে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। সমস্ত হাসপাতালগুলিকে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বানানোর নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়াও তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেন যে সমস্ত আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশী আসছেন হাসপাতালের বাইরে মাইকিং করে তাদেরকে যথাযথ স্থানে সরে যেতে বলুন। যেন কোনভাবেই সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায় সেদিকে নজর দিন সকলে।