বর্তমানে বিশ্বের ত্রাস হয়ে উঠেছে করোনা নামক মারণ ভাইরাস। কিন্তু যত সংখ্যক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তার তুলনায় মৃত্যুর হার খতিয়ে দেখলে রোগটিকে ভয়ানক মানতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু একথা অস্বীকার করার উপায় নেই সর্তকতা সত্ত্বেও করোনার সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে দুটি সমীক্ষার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। অ্যানালস অব ইন্টারন্যাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কারো দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে উপসর্গ ফুটে উঠতে সাধারণত দিন পাঁচেক সময় লাগে।
তবে, একাধিক সংক্রামিতের ১২ তম দিনেও উপসর্গ দেখা গিয়েছে। যদি আক্রান্ত ব্যক্তি ওই সময়ের মধ্যে উপসর্গমুক্ত থাকেন তাহলে তারপরে তার দেহে উপসর্গ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়। তবে তারা তখনও অন্যের শরীরে ভাইরাসটি ছড়াতে পারেন। তাই ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইন গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ গবেষণা অনুযায়ী, ১৪ দিন কোয়ারান্টিন কাটিয়ে বেরোনোর পর যাদের দেহে কোনও উপসর্গ দেখা গিয়েছে তাদের সংখ্যা প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একজন। অন্যদিকে ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, সংক্রমণের অর্থ মৃত্যু নয়। বয়স অনুযায়ী রক্তে সেপসিস ও রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলে মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যায়। এগুলিকে রিক্স ফ্যাক্টর হিসেবে চিহ্নিত করেছে ওই চীনা গবেষকদল।