করোনা নিয়ে সতর্কতামূলক প্রচারে ময়দানে নামলেন লোকশিল্পী ও স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের উদ্যোগে শ্রীরামপুর কৃষিমেলার মাঠে এই কর্মসূচির সূচনা হয়। মন্ত্রীর পাশাপাশি প্রচারে সামনের সারিতে ছিলেন কীর্তনশিল্পী গৌরী রায়পণ্ডিত ও বাউল শিল্পী তারাপদ রায়। তাঁরা গানের মাধ্যমে পায়ে হেঁটে এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছে করোনার ভয়াবহতা ও সাবধানতা অবলম্বনের বিষয়গুলি তুলে ধরেন। লকডাউন চলাকালীন লোকশিল্পীরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ঘুরে ঘুরে গান গেয়ে প্রচার চালানো শুরু করেছেন।
এদিকে এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন ক্লাবগুলিকে করোনা যুদ্ধে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাই পূর্বস্থলী এলাকার বিভিন্ন ক্লাবগুলিকেও করোনা নিয়ে প্রচারে নামানো হল। রবিবার শ্রীরামপুর নজরুল মঞ্চে পূর্বস্থলী-১ ব্লকের ১০৬টি ক্লাবকর্তাদের তলব করেন স্বপনবাবু। করোনা মোকাবিলায় তাদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। এলাকায় মাস্ক ও সাবান নিয়ে তাদের প্রচারে নামার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস নিয়ে নানা নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। সেই মতো পুলিস, প্রশাসনের তরফে এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচার চলছে। তবু অধিকাংশ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনাতার অভাব রয়েছে। অনেকেই মুখে মাস্ক পরছেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে একসঙ্গে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে অনেককেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বারবার মানুষের কাছে আবেদন করছেন। তিনি নিজেও মাইক হাতে নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন। শহর থেকে গ্রামের বিভিন্ন রাস্তায় প্রশাসনের তরফেও একাধিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি চলছে। এবার জেলার লোকশিল্পীদের করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী।
স্বপনবাবু সংবাদমাধ্যমে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে এলাকার লোকশিল্পীদের প্রচারে নামানো হচ্ছে। করোনা সতর্কতায় তাঁরা গান গেয়ে প্রচার চালাবেন। স্থানীয় বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরাও প্রচারে শামিল হবেন।