করোনা বিপর্যয়ে এই মুহূর্তে কাঁপছে গোটা ভারতবর্ষ। এরাজ্যেও রোজই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও সর্বত্রই লকডাউন অমান্য করে মানুষের অপ্রয়োজনে যাতায়াত কমছে না। এই পরিস্থিতিতে অভিনব সচেতনতামূলক প্রচারে নামলেন কালনার এসডিপিও শান্তনু চৌধুরী। শহর থেকে গ্রাম সাদা পোশাকে সাইকেল নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মানুষকে করোনা নিয়ে সচেতন করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা খতিয়ে দেখছেন তিনি। এসডিপিওর এই ব্যতিক্রমী প্রচারে অনেকটাই কাজ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বাড়ির দরজায় পুলিস আধিকারিকের মুখে সচেতনতার বার্তা শুনে অযথা বাইরে বের হওয়া মানুষজন ঘরে চলে যাচ্ছেন বলে দাবি।
করোনা থাবা বসিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও। তারপর থেকে জেলাজুড়ে প্রশাসনিক তৎপরতা অনেকটা বেড়ে গেছে। এদিকে, করোনার জেরে লকডাউন ঘোষণা ও পুলিসের মাইকিং করে প্রচারের পরও কিছু মানুষ অহেতুক ঘোরাঘুরি করে বাজার, হাট ও রাস্তায় ভিড় করছেন। কিছু কিছু অত্যাবশ্যকীয় দোকান ছাড়াও অন্যান্য দোকানদার তাঁদের দোকান খুলছেন। এমনকী খবর পেয়ে পুলিস যখন গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে, তখনই নিয়ম মানা হচ্ছে। পুলিস থেকে অনেকে লুকিয়ে পড়ছেন। দোকানের ঝাঁপও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কার্যত লকডাউন ঘিরে ‘চোর-পুলিস’ খেলা চলছে মহকুমাজুড়ে। এই অবস্থায় সাইকেল নিয়ে পথে নেমে খেয়াঘাট মোড়, হাসপাতাল মোড়, বৈদ্যপুর মোড় প্রভৃতি গুরুত্বপুর্ণ জায়গায় মানুষকে সচেতন করছেন কালনার এসডিপিও। এর আগেও বিভিন্ন প্রয়োজনে সাইকেলে চড়ে ডিউটি পালন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অযথা পাড়ার মধ্যে কাউকে ঘোরাঘুরি করতে দেখলেই তাঁকে সচেতন করে ঘরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। এসডিপিওর এই অভিনব প্রচারে ফলও মিলছে হাতে নাতে। এসডিপিও সাদা পোশাকে সাইকেল নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতে থাকায় অপ্রস্তুতিতে পড়ছেন অকারণে আড্ডা দেওয়া সাধারণ মানুষ। তখন তাঁরা বাধ্য হয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। এসডিপিওর এই অভিনব প্রচারের জেরে হাটে, বাজারে ও রাস্তার মোড়ে মানুষের উপস্থিতি কমছে।