পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছে আমফান। নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে বেরিয়ে এসে তাঁর উৎকন্ঠা প্রকাশ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ চব্বিশ পরগণা-সহ অন্তত ৬-৭ টা জেলার সর্বনাশ করে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। কত লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি করে দিয়েছে কে জানে! “কেন্দ্রের সরকারের কাছে আমার আবেদন থাকবে এটাকে রাজনৈতিক ভাবে না দেখে মানবিকতার সঙ্গে দেখতে।” পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এ কথার মধ্যেই ধরা পড়ছে কেন্দ্র নির্ভরতার বিষয়টা। তাঁদের কথায়, প্রথমত এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য যে কোনও রাজ্যই কেন্দ্র নির্ভর হবে। অতীতেও তাই হয়েছে। কারণ, ক্ষয়ক্ষতির যে বহর দাঁড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে তা কোনও রাজ্যের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়।
কিন্তু বিপদ তো শুধু তা না। করোনা সংক্রমণের কারণে আর পাঁচটা রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গও এখন জর্জরিত। কোভিডের ধাক্কায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের রাজস্ব আদায় তলানিতে ঠেকেছে। তা ছাড়া কোভিডের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যে রাজ্যকে প্রায় পাঁচশ কোটি টাকা দিয়েছে। ফলে বড় প্রশ্ন হল, উমফানের ক্ষতিপূরণের জন্য কেন্দ্র কতটা উদার হবে?
এ ক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা ভাল, আয়লার পর বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে রাজ্য সরকারকে অর্থ বরাদ্দ করার পাশাপাশি পূনর্বাসনের জন্য বাজেটে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রে তৎকালীন মনমোহন সিংহ সরকার। বর্তমানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবশ্য সে রকম নয়। কেন্দ্রের সঙ্গে কথায় কথায় সংঘাত লেগেই রয়েছে রাজ্যের। কোভিড মোকাবিলা নিয়ে তা অনবরত চলছে। ফলে অন্তত উপর থেকে রসায়ন ভাল না বলেই অনেকের মত।