জেলা

কাজকর্মে বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালো স্থানীয় মানুষ

অনিয়মিতভাবে পঞ্চায়েত প্রধান কার্যালয়ে আসছেন। এরফলে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজ না মিটিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় মানুষকে। পাশাপাশি সরকারি কাজে কোনও গতি নেই। এধরনের একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার দুপুরে আরামবাগের হরিণখোলা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রধানের স্বৈরাচারীতার অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যও এই বিক্ষোভে সামিল হন। ঘটনার জেরে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরামবাগ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি ক্রমশ বেগতিক এলাকায় যান আরামবাগ বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য ও আইসি পার্থসারথি হালদারসহ বিশাল পুলিশবাহিনী। সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে অতিদ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।

স্থানীয় মানুষদেরর অভিযোগ, দিনের-পর-দিন পঞ্চায়েতে আসেন না প্রধান জয়ন্তী প্রতিহার। এরফলে এলাকায় উন্নয়নের কাজ সম্পুর্নভাবে থমকে গেছে। জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র থেকে শুরু করে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাগজ পেতে গেলে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সরকারিভাবে আসা টাকাও সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন এলাকার মানুষ। এরফলে উন্নয়নের গতি অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ছে। বারে বারে পঞ্চায়েত প্রধানকে এ বিষয়ে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এদিন পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন সাধারণ মানুষ।
কয়েকদিন আগে পঞ্চায়েতের সিংহভাগ পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েত প্রধানের স্বৈরাচারীতার অভিযোগ তুলে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তারপরেও অবশ্য বদলাননি প্রধান জয়ন্তী প্রতিহার। অতি দ্রুত পরিস্থিতির বদল না হলে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যদের একটি বড় অংশ।

পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় পঞ্চায়েতে যান বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য্য ও আইসি পার্থসারথি হালদারসহ বিশাল পুলিশবাহিনী। এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন বিডিও। যদিও, প্রধানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Loading

Leave a Reply