উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন এক মহিলা। এক যুবতীকে হোটেলে আটকে লাগাতার একমাস ধরে সপরিবারে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী সহ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়েছে যোগীর সরকার।
জানা গেছে পুরো ঘটনার তদন্ত পড়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। রবীন্দ্রনাথ দাবি করেছেন রাজনৈতিক স্বার্থেই তার বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলা না হল। অন্যদিকে নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রথমে বিধায়কের ভাগ্নে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণ করে। এরপর আস্তে আস্তে বিধায়ক পরিবারের বাকিরাও তাকে লাগাতার ধর্ষণ করতে শুরু করেন। প্রায় ছয় মাস ধরে বিয়ের কথায় ভুলিয়ে-ভালিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছিল। শেষে বিয়ের চাপ দেওয়া শুরু হতেই বিধায়কের পরে ওই যুবতী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
সমস্ত বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সূত্রের খবর নির্যাতিতা ওই মহিলার নাকি বাড়ি মুম্বাইয়ে। ট্রেন যাতায়াতের সময় সন্দীপের সঙ্গে তার পরিচয় হয় ২০১৭ সালে। উত্তরপ্রদেশে যখন বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল তখন তাকে এনে একটি হোটেলে রাখে। সেখানে ৩০ দিন ধরে রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী,চন্দ্রভূষণ ত্রিপাঠী, দীপক তিওয়ারি, প্রকাশ তিওয়ারি রীতিমতো পালা করে তাকে ধর্ষণ করতে শুরু করে। যদিও নিজেকে বারবার নির্দোষ দাবি করে বিধায়ক বলছেন, যে সময়ে এই অপরাধ ঘটানো হয়েছে তখন তিনি দেশেই নাকি ছিলেন না। ফলে তদন্ত করে দোষী প্রমাণ হয় তবে যা সাজা হবে তা তারা মাথা পেতে নেবে।