দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে রিপোর্ট অনুযায়ী শেষ ২৪ ঘন্টায় পশ্চিমবঙ্গের নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৩ জন। এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২১৩।মারা গেছেন ৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৭ জন। বর্তমানে মোট অ্যাক্টিভ ১৬৯ জন। যদিও রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্যের মিল নেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য সঠিক নাকি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য সঠিক।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই টেষ্টে পিছিয়ে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। অন্যদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ৩ মে পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের চিন্তার যথেষ্ট কারণ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই চিকিৎসক, টেকনিশিয়ানরা আক্রান্ত হচ্ছেন।
বস্তিতেও সংক্রমনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।। এখান থেকে বের হওয়ার প্রধান উপায় হলো নিজেদের গৃহবন্দি রাখা এবং লকডাউন চলাকালীন যত বেশি সম্ভব মানুষের পরীক্ষা করা। অভিযোগ এই জায়গাটি পশ্চিমবঙ্গে অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে। প্রথমত অনেক জায়গাতেই লকডাউনের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। পাশাপাশি করোনা টেস্টের সংখ্যা ও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই কম। এখন দেখার পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর কিভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন।