আমফান ক্রমশ বিধ্বংসী হওয়ায় নদীর কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য চলছে জোর তৎপরতা। সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঘোড়ামারা। সেখান থেকে প্রায় চার হাজার মানুষকে তুলে নিয়ে এল পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের লোকজন। সাগরের ফ্লাড সেন্টারে রাখা হচ্ছে তাঁদের। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী বহু মানুষদের নৌকা থেকে নামিয়ে কোলে করে ফ্লাড সেন্টারে পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে একেকটি সেন্টারে যত লোককে রাখা যায় তার অর্ধেক সংখ্যক মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসনসূত্র জানানো হয়েছে এই সমস্ত ফ্লাড সেন্টারে মাস্ক ও স্যানেটাইজারেরও ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র মূল্যবান জিনিসগুলি নিয়ে বাড়ি ছাড়তে বলা হয় এলাকার বাসিন্দাদের। কেউ পেরেছেন, কেউ পারেননি। কেবল দরজায় তালা ঝুলিয়ে প্রাণ নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন। নদীর উপকূল এলাকাগুলিতেও জোরকদমে মাইকে প্রচার চলছে। বাসিন্দাদের ফ্লাড সেন্টারে চলে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।