দেশ

কোয়ারেন্টাইনেই মহিলাকে যৌন হেনস্তা, অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী

সমস্ত ভারতবর্ষের মধ্যে কেরল যখন স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নজির গড়েছে, অপরদিকে সেই স্বাস্থ্যব্যবস্থাতেই এবার একেবারে দু-দুটি নক্কারজনক ঘটনা ঘটলো। দুটি ভিন্ন ঘটনায় এক স্বাস্থ্য কর্মী এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এবারে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মহিলাকে যৌন হেনস্থা করলেন স্বাস্থ্যকর্মী। এমনই অভিযোগ উঠেছে কেরলে।অভিযুক্ত একটি প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের জুনিয়র হেলথ ইনসপেক্টর। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। জানা গেছে বছর  ৪৪-এর ওই নির্জাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই পাশবিক ঘটনাটি সামনে আসার ঠিক আগের দিন, শনিবারও বিকৃতকাম মস্তিষ্কের যৌন লালসার শিকার হয় এক তরুণী! এই ঘটনাটিও ঘটেছে কেরলে। কোভিড কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার মধ্যরাতে বছর ১৯-এর এক যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। কেরালার পথনমথিট্টা জেলার পন্ডলমের এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সোমবার দ্বিতীয় ধর্ষণের অভিযোগটি দায়ের হয়েছে পানগোড থানায়।

পানগোড থানার অফিসার জানিয়েছেন, মালাপ্পুরামে একজনের বাড়িতে আয়ার কাজ করেন নিগৃহীতা। সম্প্রতি কুলাথুপুঝায় নিজের বাড়ি ফেরার পর কোভিড প্রোটোকল মেনে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় মহিলার রিপোর্ট কোভিড নেগেটিভ আসে। জানা যায়, অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী মহিলাকে বলেন বারাথানুড়ে তার বাড়ি থেকে রিপোর্টটি সংগ্রহ করতে।পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে নির্জাতিতা জানান, ৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তর বাড়িতে যান তিনি। ফাঁকা ফ্ল্যাটে আচমকাই তার উপর চড়াও হয় ওই স্বাস্থ্যকর্মী! হাত-পা বেঁধে রাতভর তাঁকে রেখে দেওয়া হয়, সেই অবস্থাতেই চলতে থাকে লাগাতার ধর্ষণ।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, মহিলা কমিশনও পৃথক ভাবে ওই স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে। অভিযুক্ত হেলথ ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেরালার স্বাস্থ্য সচিবকে। একইরকমভাবে দুটি পরপর যৌন হেনস্থার ঘটনায় মুখ খুললেন কেরালা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা। তিনি বলেন রাজ্যের জন্য এই দু’টি ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগে যে ত্রুটি রয়েছে তা এই দুটি ঘটনাই প্রমাণ করে!

Loading

Leave a Reply