কর্তৃপক্ষের তরফে ‘মানসিক চাপ’ তৈরী করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে ‘গণপদত্যাগ’ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৪০ জন জুনিয়র চিকিৎসক। তাঁদের অভিযোগ, অধ্যক্ষের কাছে তারা পদত্যাগপত্র দিতে গেলে তিনি তা তা গ্রহণ করেননি। উল্টে তাঁদের সাথে দুর্ব্যবহার করছেন তিনি।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অভিযোগ, কোন ধরনের কাউন্সিলিং ছাড়াই জরুরি ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্ত্তী সময়ে প্রায় প্রতিদিন ১২ ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে। মেডিসিনের হাউস স্টাফ হিসেবে নিয়োগ করা হলেও চিকিৎসকের অভাবে প্রায় সব বিভাগেই তাদের কাজ করতে হচ্ছে। কোভিড বিভাগে কাজ করতে তারা বিন্দুমাত্র পিছপা নন। একইসঙ্গে দিনের বেশিরভাগ সময় কাজ করে যাওয়ার ফলে পড়াশুনা করার সুযোগ মিলছে না। দিনের পর দিন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ মানসিক চাপ তৈরী করার ফলেই তারা ‘ইস্তফা’র ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ।
এবিষয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম প্রধান বলেন, হাসপাতালের প্রয়োজনে এদের নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু এরা সংখ্যায় প্রায় ৪৫ জনের মতো । সারাদিনে এক দু’ঘন্টা কাজ করে চলে যায়। পাশাপাশি উপস্থিতিও অনিয়মিত। পুরো হাসপাতালের চিকিৎসক, শিক্ষক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী সবাই যখন একযোগে লড়াই করছেন তখন এরা এই ধরনের কাণ্ড করছে। প্রত্যেককে শোকজ করা হয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।