রাজেন্দ্র নাথ দত্ত :মুর্শিদাবাদ: আজ মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, লকডাউনের জেরে কর্মহীন হয়ে ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কাজের বন্দোবস্ত করার দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস। দেরিতে হলেও প্রধানমন্ত্রীর কানে গেছে ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ এই প্রকল্পের জন্য ৬টি রাজ্যকে বেছে নিলেও তাতে নাম নেই বাংলার। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান ।
তিনি আরও বলেন বাংলায় ফিরে আসা ১০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে এভাবে উপেক্ষা করলেন কেন প্রধানমন্ত্রী ? গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই কেন? মুর্শিদাবাদ জেলা য় দের লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছে । তাহলে জেলা র নাম নেই কেন? বাংলার মানুষদের এত উপেক্ষা করছেন কেন? অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনায় কেন বাংলার নাম নেই তাই নিয়ে মোদি-মমতাকে চিঠি লিখে একযোগে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ। দেশের অন্য রাজ্যের মত এই রাজ্যেও লক্ষাধিক শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে ফিরেছেন। তাঁদেরও এই প্রকল্পে কাজ পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে সোচ্চার হন তিনি। এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর মুখ্যমন্ত্রীকে চাপ সৃষ্টি করার অনুরোধও করেন।
এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য ৬ রাজ্য- উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড-এর মোট ১১৬ জেলাকে বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি, সেখানে ১২৫ দিনের মধ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী কথায়, ‘এতদিন নগরোন্নয়নে যুক্ত থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা এবার গ্রামোন্নয়নের কাজে হাত লাগাবেন।’ লকডাউনের প্রথম পর্ব থেকেই কাজ হারিয়ে ভিন রাজ্যে থেকেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। টানা দু’মাসব্যাপী এই লকডাউনের পর আনলক ঘোষণা হলেও, এখনও বহু শ্রমিক বেকারত্বের অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছেন।