এমন ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে সন্তান পুত্র হবার আকাঙ্খায়, পুরুষরা দ্বিতীয়বার বিয়ে এবং ডাক্তারের কাছে গিয়ে বিভিন্ন টাকা পয়সার বিনিময়ে সন্তান পুত্র নাকি জানার চেষ্টা করতেন এবং মহিলা সন্তান হলে তাকে রাস্তার ধারের ফেলে দিয়ে যাওয়া, মহিলা সন্তানকে খুন করা সহ অনেক কিছুই দেখেছে ভারতবর্ষ। কিন্তু এবার ঘটলো ভিন্ন ঘটনা যা সমগ্র ভারতবাসীর কাছে অত্যন্ত লজ্জার হয়ে দাঁড়ালো স্ত্রীর গর্ভের সন্তান পুত্র নাকি কন্যা, জানতে গিয়ে ধারালো একটি অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর পেট চিরে দিল, উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর এক ব্যক্তি।
তার পাঁচ সন্তানের সবকটিই মেয়ে। শনিবার রাতে ঘরে ফিরে গর্ভবতী স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে পেশায় শ্রমিক ওই ব্যক্তি। আগত সন্তান পুত্র নাকি কন্যা এনিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া তুঙ্গে ওঠে। তার পরেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড করে বসে পান্নালাল নামে ওই ব্যক্তি। ধারাল একটি অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর পেট চিরে ফেলে সে। তার পাঁচ সন্তানের সবকটিই মেয়ে। সুতরাং এবার তাকে জানতেই হবে, গর্ভের সন্তান পুত্র নাকি কন্যা।
ঘটনার কথা জানিয়েছেন, বদায়ুঁর পুলিস সুপার প্রবীণ সিং চৌহান। তিনি জানান, ভয়ঙ্কর ওই ঘটনাটি ঘটেছে সিভিল লাইন্স থানার নেকপুর এলাকায়। পান্নলালকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ঘটনার পরই মারাত্মক জখম ওই মহিলাকে বেরিলির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রতিবেশীদের দাবি, পাঁচ মেয়ের পর পান্নলাল একটি ছেলের জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছিল। সেই জন্যই সে স্ত্রী পেটে কেটে সন্তান পুত্র নাকি কন্যা তা দেখতে গিয়েছিল।
অন্যদিকে, পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার রাতে পান্নালাল স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার সময় বলে পাঁচ মেয়ের পর এবারও মেয়ে হবে। তাই আগে থেকেই গর্ভপাত করিয়ে নিতে হবে। এত রাজী হয়নি স্ত্রী সাত মাসের গর্ভবতী অনিতা দেবী। যখন ভারতে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও পরিকল্পনা চলছে, তখনই মোদিজীর ডিজিটাল ভারতে, ভারত কি আদেও এগিয়েছে? নাকি আরো অনেক বেশী পিছিয়ে গেছে ! এমনই প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞ মহল।