একের পর এক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে আরামবাগ মহকুমা এমনিতেই যথেষ্ট উত্তপ্ত। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে গোঘাট, আরামবাগ, খানাকুল, পুড়শুড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। কয়েকদিন আগেই খানাকুলে এক বিজেপি কর্মীকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই রকম পরিস্থিতি রবিবার সকালে গোঘাট রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি স্থান থেকে এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। গোঘাটের 176 নম্বর জেড পির 5 নম্বর সংসদের বাসিন্দা গণেশ রায়কে সকালে প্রাতঃভ্রমণকারীরা একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর দেওয়া হয় গোঘাট থানায়। গণেশ এর ছেলের অভিযোগ তার বাবা সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিল। এলাকায় পতাকা লাগানো থাকে প্রতিটি মিছিল মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতো। গতকালই তাকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছিল। বাবাকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা নৃশংস ভাবে মেরে গাছের ডালের টানিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা তাপস রায় বলছেন মৃত গণেশ রায় মাঝে মাঝেই মদ খেয়ে গালাগাল করতো। গতকাল রাত থেকে নিখোঁজ ছিল।
অনেকেই ভেবেছিল মদ খেয়ে কোথাও রয়ে গেছে। কিন্তু সকালে দেখা যায় গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ। তাদের ধারণা গণেশ কে কেউ মেরে টাঙিয়ে দিয়েছে। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলছেন এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। গণেশকে বিজেপি করার অপরাধে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হত্যা করে গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে গোঘাটের বকুল তলা এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মীরা। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্কই নেই।
গণেশ বলে বিজেপির কোন লোক ছিল তা তারা জানতোই না। কোন ঘটনা ঘটলেই বিজেপি লাশ নিয়ে রাজনীতি করছে।কেউ গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেলেও তার দায় চাপানো হচ্ছে তৃণমূলের উপর। ময়নাতদন্ত করলে পরিষ্কার হয়ে যাবে গণেশ আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে খুন করা হয়েছে। বিজেপি জেলা সভাপতির ডাক্তারদের মতো কথাবার্তা বলছে। কোন কিছু না জেনে এলাকাকে উত্তপ্ত করতে লাশের রাজনীতি করছে। সব মিলিয়ে আবার একটা মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হচ্ছে আরামবাগ।