ঘূর্ণিঝড় কিংবা সুনামির মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ইউরোপ-আমেরিকার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হচ্ছে এরাজ্যেও। দুর্যোগ আসার আগেই প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষকে আগাম সতর্ক করতে রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী তিনটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনায় অটোমেটিক আর্লি ওয়ার্নিং ডিসেমিনেশন সিস্টেম চালু হবে। এতে মুহূর্তের মধ্যে মোবাইল ফোনে ভয়েস কল এবং এসএমএসের মাধ্যমে বিপদবার্তা পৌঁছে যাবে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে। অটোমেটিক বেজে উঠবে সাইরেন।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করতে রাজ্যের প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকে সম্প্রতি টেন্ডার করা হয়েছে। আগামী বর্ষার আগেই এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়া এবং ফসল নষ্ট হওয়া ছাড়াও মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। এক আধিকারিকের কথায়, দুর্যোগের খবর মানুষকে আগেভাগে জানানো গেলে অবাঞ্চিত মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হবে। দুর্যোগ আছড়ে পড়ার আগেই মানুষ সরকারি ত্রাণ শিবির কিংবা অন্য কোনও নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে পারবে। এতে কমবে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ সামাল দিতে প্রশাসনের সুবিধা হবে। ইউরোপ আমেরিকার মতো উন্নত দেশে এই ধরনের ব্যবস্থা বহুদিন আগে থেকেই চালু রয়েছে। এদেশে ওড়িশায় এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এবার এ রাজ্য এই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে সরকার।