নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ- ঘুর্ণিঝড় আম্পানে বাংলাদেশের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আমের ক্ষতি হয়েছে ১৫০ কোটি টাকার। ব্রিজ কালভার্টের সংখ্যা ২০০টি। সবমিলিয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতির পরিমাণ দাড়িয়েছে ১১০০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার বিকালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান এ তথ্য জানান। এসময় তিনি জানান, এবারে ত্রাণের সঙ্গে আমও দিতে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনদের আম কেনার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অবহিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় বাঁধ ও ঘরবাড়ি মেরামত/সংস্কারে জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে কাজ শুরু হবে। উল্লেখ্য, আম্পানে সাতক্ষীরা জেলায় ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। তবে অন্য জেলাগুলোতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে মন্ত্রী আলাদা করে কিছু বলেননি। সাতক্ষীরায় আমের প্রচুর ফলন হয়। অপর দিকে আম্পানে ১০জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজের্ন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত ৬জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি পটুয়াখালীর কলপাড়ায় সৈয়দ শাহ আলম (৫৪) নামে এক স্বেচ্ছাসেবী নৌকাডুবে মারা যান। গাছচাপায় মৃত হয়েছে, জেলার গলাচিপার পানপট্টির ৫ বছরের শিশু রাশেদ, ও ভোলার চরফ্যাশনের মো.সিদ্দিক ফকির (৭২)। মারা গেছেন ভোলার বোরহানউদ্দিনের ট্রলারডুবে মারা গেছেন, রফিকুল ইসলাম (৩৫)। দেয়াল চাপায় মারা গেছেন পিরোজপুর মঠবাড়িয়ার শাহজাহান মোল্লা (৫৫) এবং সন্দ্বীপে সালাউদ্দীন (১৬)। যশোরের চৌগাছায় ২জন, সাতক্ষীরায় ১জন ও ঝিনাইদহে ১জন মারা গেছে।
অপর দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান থেকে এবারেও বুক পেতে বাংলা দেশকে রক্ষা করলো সুন্দরবন। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সাতক্ষীরায়। এখানের সবকটি বেড়িবাধ ভেঙ্গে শ্যামনগর, আশশুনিসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। সকালে হেলিকপ্টারে সেনাবাহিনী পৌছে উদ্ধার কাজ চালায়। জলোচ্ছ্বাসে চিংড়িঘের ভেসে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ককতায় ছিল বাংলাদেশের। প্রলয়ঙ্করী আম্পান ঘিরে যে মহাতঙ্ক দেখা দিয়েছিলো এবং যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে সিডর এবং ২০১৯ সালে বুলবুলের আঘাত থেকেও রক্ষা করেছিলো সুন্দরবন।