ঋদি হক(ঢাকা):- বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে। আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এঅবস্থায় থেমে গেছে গোটা দেশের কর্মীর হাত। একমাত্র সচল রয়েছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সামনের সারিতে থেকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। কোন কোন বাড়ির মালিক তাদের চাকরি ছেড়ে বাড়িতে বসে থাকার কথা বলতেও দ্বিধা করছেন না। করোনা পরিস্থিতির এই মুহূর্তে যেখানে সঠিকভাবে মৃত ব্যক্তির সৎকার হচ্ছে না, সেখানে কতিপয় বাড়ির মালিক এমন অমানবিক আচরণ কিভাবে করেন? এবারে এমন বাড়ির মালিকদের জন্য হুশিয়ারি আসলো খোদ বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি মন্ত্রীর তরফে। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, কোন বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলেই সে বাড়ির গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। বাংলাদেশের জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকায় নয়, দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে এমন অভিযোগ পাবার পরই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে শনিবার বাংলাদেশে নতুন আরও ৯জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে মৃত্যু সংখ্যা পৌছালো ৮৪। ২১১৪টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৩০৬ দেহে করোনা শনাক্ত হলো। যা নিয়ে মোট আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়ালো ২০১৪৪। শনিবার হেলথ বুলেটিনে এতথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মন্ত্রী নসরুল হামিদ উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই নির্দেশনায় বলেছেন, এই দু:সময়ে করোনা মোকাবিলায় যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, সেসব চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের হয়রানি মেনে নেবেন না। অথচ কোন কোন বাড়ির মালিক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংবাদকর্মীদের হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেছে। তারা এও বলছেন চাকরি ছেড়ে বাসায় বসে থাকতে। এমনি অমানবিক বাড়ির মালিকদের ক্ষমা করা হবে না। অভিযুক্ত বাড়ির বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। মহামারির সময় অনেকে জরুরি সেবা দিচ্ছেন। সংবাদকর্মীরা জাতির সেবায় রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন। এ রকম জরুরি সেবা প্রদানকারী কারও বিরুদ্ধে কোনো বাড়িওয়ালা বা ব্যক্তি হয়রানি করলে তার বাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ কেটে দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কেউ এমনি সমস্যায় পড়লে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর ওয়েব সাইটে দেওয়া হট লাইনে কল করে জানাতে হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরিষ্কার বার্তা পাঠাচ্ছি।