চুড়া থানা এলাকায় প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির পরিবারকে নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর নাটক চলল। প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে চুঁচুড়া থানা এলাকায় প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসে। চুঁচুড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি আবাসনের বাসিন্দা পেশায় চন্দননগরের একটি মসজিদের ইমামের করোনা পজিটিভ ধরা পরতেই স্বাস্থ্য কর্মীরা পরিবারের অন্যান্য ৬জন সদস্যর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য সেখানে হাজির হন। পরে সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে ৬ জনের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদেরকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠালেই আপত্তি জানায় আবাসনের অন্যান্য পরিবারগুলি।
যদিও সোমবার কোনওভাবে তাঁদেরকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে আসে পুলিশ। আজ সকালে দমকল কর্মীরা ওই আবাসন সহ চুঁচুড়া স্টেশন চত্ত্বর জীবানুমুক্ত করার কাজ করে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কোদালিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবাশিস চক্রবর্তী, পঞ্চায়েত সদস্য অজয় মোহান্তি সহ অন্যান্যরা। এরপর আক্রান্তের পরিবারের ৬ জন সদস্যর লালারস সংগ্রহের জন্য নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই আবাসনের মেন গেটে তালা মেরে দেয় আবাসিকরা। ঘন্টা কয়েক পর তাঁদেরকে নিয়ে এলেও অন্যান্য আবাসিকরা আবাসনে ঢুকতে বাঁধা দেয়। তাঁদের বক্তব্য এই আবাসনে কয়েকশো পরিবার রয়েছে। সকলেরই জীবনের দাম আছে। ওই ৬ জনকে আপাতত সরকারি কোয়ারাইন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হোক। যদিও আক্রান্তের ছেলের বক্তব্য , বাবার করোনা হয়েছে কি না সেটাই আমরা জানি না। আর ঘরে থাকলেও আমরা কোয়ারান্টাইনেই থাকব। যদিও এরপর পুলিশের সাথে আবাসিকদের একপ্রস্থ বাদানুবাদের পর ওই ৬ জনকে সপ্তগ্রামের সরকারি কোয়ারিন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়।