লকডাউনের জেরে বাকি রয়েছে শেষ দুই সিবিএসসি বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেনীর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সেইঅর্থে নেই পড়াশোনার বাড়তি চাপ। তাই বাড়িতে বসে রঙ, তুলি দিয়ে নানান ছবি ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছে হরিপালের খামারচন্ডী গ্রামের রিদ্ধি দাস। বাবা মনোজিৎ দাস সরকারি স্বাস্হ্য দফতরের কর্মী। ইতিমধ্যেই বেতন থেকে এগারো হাজার টাকা করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। তাই বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাজে অনুপ্রেরণায় স্কুল পড়ুয়া রিদ্ধি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভূমিকার ভাবধারাকে ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে রিদ্ধি দাস। তার আঁকা একটি ছবিতে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে প্রাচীর তৈরি করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার জনগনের সাথে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্হ্যকর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিকদের রক্ষা করছেন।
অপর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী দশভূজার ভূমিকায় দশহাতে সবাইকে আগলে রেখেছেন। রিদ্ধির আর্জি, তাঁর এই আঁকা ছবি কোনও ব্যক্তি যে মূল্য দিয়ে কিনবেন, সেই ছবি বিক্রির টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করবে। মেয়ের এই চিন্তাধারাকে সাধুবাদ দিয়েছে তার বাবা-মা। তার এই প্রচেষ্টার সাথে সঙ্গ দিয়েছিলেন বাবা-মা। পড়াশোনার ফাঁকে রিদ্ধি যেভাবে তার ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলেছে তাতে স্তম্ভিত সকলেই।