করোনার জেরে ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি। এসময় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, মন্ত্রীপরিষদসহ ১৮ মন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট অফিস খোলা থাকবে। পোশাক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তৈরি পোশাকা কারখানার খোলা যাবে। এমন শর্ত দিয়ে পোশাক কারাখানা খোলার অনুমতি দিল সরকার। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রক জারিকৃত বিজ্ঞাপনে এসব কথা জানানো হয়। তাতে আরও বলা হয়, ১৮টি মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ও বিভাগগুলো সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা এই সময়ে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে। করোনাভাইরাস ক্রমণ ঠেকাতে ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেই স্বল্প পরিসরে আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে বৃহস্পতিবার জারি করা এক নির্দেশনায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলি আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা এবং বিস্তাররোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত দেশের সকল আদালতের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অতি জরুরি বিষয় সমূহ শুনানি করতে ছুটিকালীন সময়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো: নুরুজ্জামান আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে বসবেন। বাংলাদেশে নতুন করে ৭জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা ১২৭জন।
নতুন ৪১৪ জন নিয়ে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪১৮৬। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ছুটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, কৃষি, বাণিজ্য, খাদ্য, জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা ও সেবাবিভাগ, তথ্য, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, নৌ পরিবহণ, সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু এবং মৎস্য ও পাণিসম্পদ মন্ত্রক। একই দিনে অপর এক আদেশে বলা হয়েছে, সড়ক ও নৌপথে সব প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে সম্পৃক্ত যানবাহন, ট্রাক, লরি, কার্গো, যান চলাচল অব্যাহত থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প-কারখানা এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত ক্ষেত্রগুলো ও গণপরিবহণ পযায়ক্রমে চালু করা হবে। তবে কোনওভাবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না।