বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীর গায়ে অ্যাসিড ঢাললো স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে কসবার বিবি চ্যাটার্জী স্ট্রিটে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। জানা গেছে জয়ন্ত দাস নামে এক ব্যক্তির সাথে ১২ বছর আগে পূর্ণিমার বিয়ে হয়। তাদের তিনটি সন্তানও অাছে। কিন্তু পারিবারিক অশান্তি দিন দিন এত পরিমাণ বাড়তে থাকে যে পূর্ণিমা নিজের বাড়িতে চলে আসে ছোট ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে। আর জয়ন্ত দাস অন্যত্র বড় ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতে থাকে। জয়ন্ত দাস রীতিমতো সন্দেহ করতো পূর্ণিমাকে। প্রতিবেশীদের থেকে জানা গেছে, পূর্ণিমা পাড়ায় অন্য কোন ছেলের সাথে কথা বললেই জয়ন্ত দাস অত্যাচারের মাত্রা আরও অনেক বাড়িয়ে দিত। কিন্তু ঘটনার সূত্রপাত অন্য জায়গায়।
পূর্ণিমা দিনদিন অত্যাচারিত হতে হতে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে অন্য পুরুষের সাথে আকৃষ্ট হয়। অন্য এক পুরুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয় তার। আর সে কথা মাসখামেক অাগে কানে যায় জয়ন্ত দাসের। সপ্তাহ খানেক আগে এসে জয়ন্ত দাস পূর্ণিমাকে শাঁসিয়ে যায় অ্যাসিড আক্রমণের কথা বলে। পূর্ণিমার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা জয়ন্ত আগে থেকেই জানতো। সাড়ে ১১টায় স্কুলে আসে পূর্ণিমা। পৌনে ১২টা নাগাদ জয়ন্ত স্কুলে এসে পূর্ণিমার খোঁজ করে। দুজনের তর্কা তর্কি শুরু হয় ওখানেই। এরপর মদের বোতলে থাকা অ্যাসিড ঢেলে দেয় পূর্ণিমার পিঠে ঘাড়ে এবং তারপরে পূর্ণিমা পালাতে গেলে প্লাস্টিকের মধ্যে অ্যাসিড ভরে ছুঁড়ে দেয় পূর্ণিমার গায়ে। তখনই পাশে থাকা আরও তিন অভিভাবকের গায়ে অ্যাসিড লাগে। তার পরে জয়েন্তোকে ধরে ফেলে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনতা। পূর্ণিমা এবং অভিভাবকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্কুলের সামনে এরুপ ঘটনার জন্য সকলেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওখানে কোন বাচ্চা থাকলেও ঘটে যেতে পারতো আরো বড় কোনো ঘটনা। অভিভাবকেরা জয়ন্ত দাসের সাজার জন্য দাবি জানিয়েছেন।