রাজ্য

জনতার কারফিউ ও করুনার জেরে ভেস্তে গেলো লাউগাং ঐতিয্যবাহী বারুনি মেলা

ত্রিপুরা থেকে বিশ্বেশ্বর মজুমদার এর রিপোর্ট।দক্ষিণ ত্রিপুরা:- জনতার কারফিউ ও করুনার জেরে ভেস্তে গেলো লাউগাং ঐতিয্যবাহী বারুনি মেলা। হিন্দু ধর্মের তিথী অনুযায়ী আজ বারুনিমেলা। শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত লাউগাং এলাকায় প্রত্যেক বছর বারুনি মেলা সংগঠিত হয়েথাকে। লাউগাং এলাকায় তিন নদির মিলনস্থলে লোকজন স্থান করে পূর্ব পুরুষদের জন্য তর্পন করে ও মেলা প্রাঙ্গনে গঙ্গা পূজায় সকলে মিলিত হয়।

এই বারুনি মেলায় স্থান করে লোকজন শিবের গাজনের কাজ শুরু করে। বারুনি মেলার দিনথেকে শুরু করে চৈত্র মাসের শেষ দিনপর্যন্ত চলে এই শিবের গাজন। লাউগাং এলাকায় দীর্ঘ ১০০ বছরের উপর এই মেলা সংগঠিত হয়েযাচ্ছে। আজকে এর মধ্যে বেতিক্রমি চিত্র লক্ষ্যকরাযায়। করুনা ভাইরাসের জেরে ও প্রধানমন্ত্রীর জনতার কারফিউ এর ডাকে সারাদিয়ে আজকে কোনোপ্রকার মেলা সংগঠিত হয়নি। এই মেলাকে কেন্দ্র করে অন্যান্যবছর মেলাপ্রাঙ্গনে হাজার হাজার পূর্নার্থির সমাগম ঘটতো। এই মেলাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোকানদারদের সমাগম ঘটতো। কিন্ত এইবার মন্দির প্রাঙ্গন ছিলো সম্পূর্ন ফাঁকা। মন্দির পুরোহিত একা পূজা করে যাচ্ছেন।

পুরোহিতের সঙ্গে কথাবলে জানাযায় আজকে বারুনি মেলাকে কেন্দ্র করে সকালবেলা আনুমানিক ৫০ জন পূর্নার্থির সমিগম ঘটেছে। সকলে নদীতে স্থান সেরে নিজ নিজ ঘরেচলেযায়। পূরহিত নিত্য পূজার ন্যায় বাৎসরিক পূজা সেরে নিজ ঘরের উদ্দ্যেশ্যে রওনাহয়। সবকিছু মিলিয়ে করুনা ভাইরাস ও জনতার কারফিউর জেরে মেলাপ্রাঙ্গন ছিলো জনমানব শূন্য। এছারা প্রাধানমন্ত্রীর ডাকে সারাদিয়ে সমগ্র শান্তির বাজার বাজার ছিলো জনমানবশূন্য। সকলে জনতার কারফিউ স্বতস্ফূর্তভাবে সমর্থন করেছে।

Loading

Leave a Reply