দেশ

জামাত সদস্য চিকিৎসকদের গায়ে থুতু ছেটাইনি, তদন্তে উঠে এল সত্য, নিন্দা সব মহলের।

বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে প্রচার করছেন কোনভাবেই গুজব ছড়াবেন না। গুজব ছড়ানো দন্ডনীয় অপরাধ। তার পরেও গুজব ছড়ানো তে যে কোন বিরাম নেই হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া গেল। দিল্লির তাবলীগী জামাতের জমায়েত নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল ভারতবর্ষ।করোনা ভারতবর্ষে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ নাকি জামাতের এই জমায়েত। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল কে আসরে নামিয়ে মসজিদ খালি করতে হয়। তারপর এই মসজিদ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়।

আর এখানে একটি বিষয় নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ এক যুবক নাকি হাসপাতালে চিকিৎসকদের গায়ে থুতু ছিটিয়ে দিয়েছে। হাসপাতালের ভয়ঙ্কর আচরণ করছে।অভিযোগ করোনা সন্দেহে রায়পুর এইমসে ভরতি তবলিঘি জামাত এক সদস্যের বিরুদ্ধে, তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের গায়ে থুতু ছিটিয়েছেন। ঝামেলা বাধাচ্ছেন হাসপাতালজুড়ে। যদিও রায়পুর এইমসের তরফে সেই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী সুনীল সোনিও অভিযুক্তকে হাসপাতালের ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’ বলেন। স্থানীয় খবরের চ্যানেলগুলিতেও সেই খবর দেখানো হয় ।

অভিযোগের পরপরই ছত্তিশগড়ের বিশেষ মনিটরিং সেল তদন্ত নামে। আর তাতেই দেখা যায় ওই সদস্য নির্দোষ। এইমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও অভিযোগকে মিথ্যে বলে জানায়। হাসপাতালের সূত্রে বলা হয়েছে, ‘করোনা আক্রান্ত এই তবলিঘি জামাত সদস্য কোরবার বাসিন্দা। কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে সে অভব্য আচরণ করেনি। এমনকি তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। হাসপাতালের সব নিয়ম মেনে চলছে সে।’ এরপরই মন্ত্রী মশাই অবশ্য তার অবস্থান থেকে সরে এসেছে। ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। গোটা দেশজুড়ে প্রচার হয়ে গেছে যে ওই যুবক চিকিৎসকদের গায়ে থুতু ছিটিয়েছে। এই বিষয়ে তদন্তের কথা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। বলা হচ্ছে কিভাবে এই ঘটনায় দেশজুড়ে প্রচার করা হলো তার উপযুক্ত তদন্ত হোক বলে।

Loading

Leave a Reply