জ্যাকেটে হাত পড়লেই লাগবে শক। রিস্ট ব্যান্ডের সুইচ টেপা মাত্রই অবস্থান জানতে পারবে বাড়ির লোকজন থেকে নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে। যন্ত্রের নাম বেটি বাঁচাও বেটি পেহেনাও। যন্ত্রের নির্মাণকারী দুর্গাপুরে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের চারজন পড়ুয়া। সৈকত চৌধুরী, শঙ্খ শুভ্র মিত্র, দেবজ্যোতি ঘোষাল ও বিনীতা দামাই। সহায়তা করেছেন কলেজের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক সমীর বসাক। নির্মাণ কারীরা জানাচ্ছেন, বিপদ বুঝলে জ্যাকেটের সুইচ অন করলে জ্যাকেটে হাত দিলেই শক লাগবে দুষ্কৃতীদের।
এছাড়াও হাতে থাকা রিস্ট ব্যান্ডের বোতাম চাপলে জিপিএসের মাধ্যমে অবস্থান জানতে পারবে পরিবারের সদস্য থেকে নিকটবর্তী থানার পুলিশ। এর ফলে আপনি নিজে যতটা সেফ থাকবেন তার সাথে জিপিএসের মাধ্যমে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে বাড়ির লোক এবং পুলিশ। নির্মাণকারীরা বলছেন, তাদের এই দুটি যন্ত্রের ফলে মহিলারা সুরক্ষা পাবে। কর্পোরেট সংস্থায় কর্মরত মহিলা কর্মীদের বাড়ি ফিরতে রাত হয়। তাতে বাড়ির লোক যেমন চিন্তায় থাকে তার সাথে সাথে মেয়েটিও ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। এই দুটি যন্ত্রের সাহায্যে যন্ত্র ব্যবহারকারী মেয়েটি স্বাচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করতে পারবে। তারা জানাচ্ছে ভবিষ্যতে এটি বাজারে বিক্রি করলে তার বিক্রয় মূল্য হতে পারে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাই সামান্য কিছু টাকার মাধ্যমে মহিলারা পেতে পারে সুরক্ষা। নির্মানকারী ছাত্র-ছাত্রীদের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন আসানসোলের কর্তব্যরত পুলিশ কমিশনারেটও। এখন দেখার কত দ্রুত বেটি বাচাও বেটি পেহেনাও বাজারে আসে।
