শনিবার সন্ধ্যায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে মাথায় হাত পড়েছে গলসির চাষিদের। ঝড়ে জমিতে পড়ে গিয়েছে ধান গাছ। পাকা ধান গোলায় তুলতে না পেরে গবাদি পশুকে খাইয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। সময়মতো শ্রমিক না পাওয়ার জেরেই ধান কাটতে দেরি হয়েছে। ফলে দুর্যোগের আগে ফসল ঘরে তোলা যায়নি বলে তাঁদের দাবি।
টানা বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে গোটা গলসি ব্লকজুড়ে পাকা ধান অধিকাংশ জমিতে ঝরে পড়েছে। ওইদিন বিকেলে অতিরিক্ত শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছে গলসি-১ ব্লকের উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের গলিগ্রাম ও পোতনা পুরষা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর ও বন্দুটিয়া এলাকা। পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিতে আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পোতনা, পুরষা, হরিপুর ও মনহরসুজাপুর, পুরন্দগড় কোলকোল, সিংপুর, ভাসাপুর, খেতুড়া, আস্করন সহ বিভিন্ন এলাকার মাঠের ধান। জলে ডুবে রয়েছে বেশিরভাগ জমি। এলাকার চাষিরা বলেন, শ্রমিক সমস্যায় ধান কাটা যায়নি। লকডাউনের কারণে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া প্রভৃতি জেলা থেকে শ্রমিকরা আসতে পারেনি। রাজ্য বা কেন্দ্র সরকার উভয়েই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়নি।
জমিতে এক হাঁটু জল জমে রয়েছে। ধান আর কেটে ঘরে তোলা যাবে না। মহাজন এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন চাষিরা। ধান না পেলে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না তাঁরা। তাছাড়া অনেক চাষিরই অভিযোগ, ধান ঘরে না তুলতে পারায় খাবার অভাব হবে। যদিও রবিবার বেলা ১১টার পর এলাকায় প্রতিনিধি পাঠিয়ে তদন্ত করেন গলসি-১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা অরিন্দম দানা।