জেলা

টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস, কাঠগড়ায় কাটোয়া কলেজের ৩ অধ্যাপক

পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পরীক্ষার খাতায় নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার বড়সড় চক্রের পর্দা ফাঁস হল কাটোয়ায়। কাটোয়া কলেজের জুলজির বিভাগীয় প্রধান সহ তিনজন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ঘিরে শহরে শোরগোল পড়েছে। কলেজের জুওলজি ডিপার্টমেন্টের চার পড়ুয়া অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অডিও ক্লিপিংস ও মোবাইলের স্ক্রিন শর্ট সহ কলেজের অধ্যক্ষ সহ কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জুওলজি পরীক্ষার খাতা যদি ওই অভিযুক্ত শিক্ষকরা দেখেন তাহলে সঠিক মূল্যায়ন হবে না বলে চার পড়ুয়া আতঙ্কের মধ্যে আছে বলে কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে জানান।

যদিও ঘটনার কথা সব শুনে পরিচালন সমিতির সদস্য তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় পড়ুয়াদের বলেন ভয়ের কিছু নেই। চার পড়ুয়া ছাত্র শিক্ষকের মধ্যে টাকা চাওয়ার অডিও রেকর্ডিং ও মোবাইলের স্ক্রিন শর্ট সহ লিখিত অভিযোগ কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকারের কাছেও জমা দিয়েছে। কাটোয়া কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার জুলজি ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি কয়েকটা অডিও ক্লিপিংস ও মোবাইলে স্ক্রিন শট পেয়েছি। কাটোয়া কলেজে এইসব হতে দেবনা। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রমাণ সহ পাঠাব। ঘটনার তদন্তে দোষী প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কাটোয়া কলেজে এই ধরনের নোংরামি করতে দেওয়া হবে না। একজন শিক্ষক আর একজনকে বলছেন, মেধাবী ছেলে কী করে পিরীক্ষার খাতায় ৮-৯ পায় দেখে নেবে।

প্রয়োজনে সেই মেধাবী ছেলের উত্তর পত্র ছিঁড়ে দেওয়া হবে। তারপর নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিটি বিষয়ে ৫০০ টাকা করে চারটি বিষয়ের জন্য ২০০০ টাকা সঙ্গে টিউশনির জন্য ২০০০ টাকা মোট চার হাজার টাকা দেওয়ার কথা একজন শিক্ষক ছাত্রকে বলছেন। বিভাগীয় প্রধানের মদতে কয়েকজন কলেজ শিক্ষক এই জঘন্য কাজ করছে বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জুলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এইসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি সব সময় ছাত্রদের ভালো চাইব। আমি তৃণমূলের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদের সভাপতি ছিলাম, কলেজ শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার সঙ্গে জড়িয়ে আছি সেজন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে চক্রান্ত করে আমার চরিত্র হননের জন্য এসব করা হচ্ছে। কাটোয়া কলেজ থেকেই এসব করা হচ্ছে। যদিও কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঘটনার তদন্ত হবে। অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Loading

Leave a Reply