রাজ্য

টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হল ভোটগ্রহণ।

টানটান উত্তেজনা ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ৩ বছর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ছাত্রভোট ৷ ভোটগ্রহণ শুরু হল বেলা ১১টা থেকে ৷ আগামী বৃহস্পতিবার হবে ভোটগণনা৷ একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি বিভাগে হবে ভোট ৷ জানা গেছে, যাদবপুরের এই প্রথম ভোটে দাঁড়াচ্ছে এবিভিপি ৷ শেষবারের ছাত্রভোটে নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এবার সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাচ্ছে এবিভিপি।

প্রেসিডেন্সির মতো যাদবপুরেও পুরানো নিয়মেই হবে ছাত্রভোট ৷ ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভের পরই মমতা ব্যানার্জীর সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে জানায়, এখন থেকে আর ছাত্র সংসদ ভোট হবে না রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। তার বদলে হবে গঠন হবে নতুন ছাত্র কাউন্সিল। এই নতুন কাউন্সিলের নিয়ম বিধি অনুসারে ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন করবে প্রতিষ্ঠানেরই প্রধান। শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদক ও সহ সম্পাদক নির্বাচন হবে ছাত্র-ভোটের মাধ্যমে। সরকারের এই ঘোষণারই পরই কাউন্সিল মডেলকে চূড়ান্তভাবে ‘অগণতান্ত্রিক’ ও ‘ছাত্রস্বার্থ’ বিরোধী বলে চিহ্নিত করে রাস্তায় নামে যাদবপুর প্রেসিডেন্সি সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। রাজ্য জুড়ে একাধিকবার প্রতিবাদ কর্মসূচীরও ডাক দেয় এসএফআই সহ একাধিক বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। অবশেষে কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তৃণমূল সরকার কিছুটা নরম হয় ৷ নির্দেশ দেওয়া হয়, ছাত্র সংসদ ভোট হবে নাকি কাউন্সিল ভোট হবে তা ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষই। এরপরেই প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র ভোট অনুষ্ঠিত হয় ৷ এবার কি যাদবপুরের পালা ৷

এই ভোটে এবিভিপির মূল অস্ত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা ৷ পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ইতিবাচক দিকও তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে এবিভিপি নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, গতবছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র আসা নিয়ে ক্যাম্পাসে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই ইউনিয়ন রুম ভাংচুরের অভিযোগ ওঠে এবিভিপির বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলবে না বলেই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপির সদস্যদের। এখন দেখার নির্বাচন কেমনভাবে শেষ হয়।

Loading

Leave a Reply