একসময় গ্রামের বহু বাড়ির উঠানে দেখা মিলত ঢেঁকির। উৎসব অনুষ্ঠান ছাড়াও সারা বছরই ঢেঁকিছাঁটা চাল তৈরি হতো। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল যুগে সেই ঢেঁকি এখন অতীত। ঢেঁকিছাঁটা চালের স্বাদও ভুলে গিয়েচেন বেশিরভাগ মানুষই। কারণ এতে সময় এবং পরিশ্রম অনেক বেশি আগের মতো আবার সেই পুরনো ছাদের ঢেঁকিছাঁটা চাল খাওয়াতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলার কয়েকটি জায়গায় ঢেঁকি সেন্টার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দিয়ে পরিচালিত করা হবে এই সেন্টারগুলি। সেইসঙ্গে জেলায় কাঁথাস্টিচ এর ফ্রেমিং ইউনিট গড়ছে জেলা প্রশাসন।
শুধু বাজার বা মেলা নয়, এবার থেকে অনলাইনে বিক্রি হবে কাঁথা স্টিচ এর ফ্রেম। প্রশাসনের দাবি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের আয় বাড়াতেই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, বিভিন্ন শপিংমলে চড়া দামে ঢেঁকিছাঁটা চালের প্যাকেট বিক্রি হয়। দিন দিন তার চাহিদাও বাড়ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় অনেক ধরনের চাল উৎপাদন হয়। তাই এবার এই জেলাতেই ঢেঁকিছাঁটা চাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আউশগ্রাম সহ কয়েকটি জায়গায় ঢেঁকি বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢেঁকি কেনার জন্য ইতিমধ্যেই একটি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। ঢেঁকি বসানোর কাজ শুরু হলেই সেখানে চাল উৎপাদন হবে।