জেলা রাজ্য

তৃণমূলের থাকো না হলে বিজেপি তে যাও একই সাথে দুজনের সাথে প্রেম করো না। কল্যান বাবু এমনই মন্তব্য করলেন।

‘ইয়া তৃণমূলমে রহো, ইয়া বিজেপিকে সাথ চলা জাইয়ে, দোনো কো সাথ প্রেম মত কি জিয়ে ভাইয়া’ নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ কল্যানের। মঙ্গলবার ব্যান্ডেল সাহেববাগানে আয়োজিত তৃণমূলের সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

ব্যান্ডেল রেলস্টেশন সংলগ্ন ওই এলাকা ভারতীয় রেলের আওতায় রয়েছে। যদিও স্বাধীনতার পর থেকে সাহেববাগান, সাহেবপাড়া, ক্যান্টিন বাজার, পীরতলা প্রভৃতি এলাকায় বহু মানুষ বসবাস করতে শুরু করেন। সম্প্রীতি সেই সমস্ত মানুষদের উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে নোটিশ ঝোলায় রেল। যার বিরুদ্ধে সবার প্রথমেই সরব হন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। এদিন মূলত অসিতবাবুর আয়োজনেই রেল কলোনী উচ্ছেদের প্রতিবাদে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়,অসিত মজুমদারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বেচারাম মান্না, তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, ব্যান্ডেল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রীতু সিং সহ অন্যান্যরা। এখানে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র কটাক্ষ করেন কল্যানবাবু। তিনি বলেন মোদি যাকে জড়িয়ে ধরেন তিনিই সরে যান। মোদি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গলা জড়িয়ে ধরেছিলেন উনিও সরে গেলেন। পাশাপাশি ব্যান্ডেলের ওই এলাকায় হুগলীর বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী এলে তাঁকে ঘেরাও করার নিদান দেন সাংসদ।

এদিন কল্যানবাবু দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন থাকবেন। তবে এদিনের বক্তব্যে সম্প্রতি বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও নাম না করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কল্যাণবাবু। তিনি পরিবহনমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন হয় তৃণমূলে থাকো, না হয় বিজেপিতে যাও; একইসাথে দু’জনের সাথে প্রেম করোনা। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করলেও কল্যানের এই কটাক্ষ যে তাঁকে নিয়েই, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারোর।

Loading

Leave a Reply