জেলা

তৃণমূল জেলা সভাপতি লবিবাজি করছেন, প্রকাশ্য জনসভায় তোপ যুব সহ-সভাপতির।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের সর্বস্তরের নেতা, কর্মী, দলের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের ‘এক সাথে চলা’র বার্তা দিলেও বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস এক হাত নিলেন দলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরাকে। ব্লক তৃণমূল মহিলা ও যুব তৃণমূলের ডাকে কৃষি বিল, জাতীয় সম্পদ বেসরকারীকরণ, মূল্যবৃদ্ধি ও উত্তর প্রদেশের হাথরাসের ঘটনার প্রতিবাদে রানীবাঁধে মহামিছিল শেষে এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন বিদ্যুৎবাবু। বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুব তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বলেন,আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন মানে সামনে কঠিন লড়াই। আর এই লড়াইয়ের আগে যারা দলবাজি-লবিবাজি করছেন, দল ক্ষমতা থেকে সরে গেলে কিন্তু ওই চেয়ার থাকবেনা বলেও হুঁশিয়ারি দেন। এরপরেই বলেন, জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা এই মঞ্চকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছিলেন। আর রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি নিয়ে জেলা যুব তৃণমূল সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস রানীবাঁধে মিছিল ও সভা করলেন বলে জানান।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা যুব তৃণমূল সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস বলেন, উনি (জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা) শাখা সংগঠনের প্রত্যেক নেতৃত্বকেও এদিনের কর্মসূচিতে আসতে নিষেধ করেছিলেন। আমি প্রত্যেককেই চিঠি করেছিলাম। জেলা সভাপতি কিসে সন্তুষ্ট আমি জানি না, আর পরোয়া করিনা। মানুষ আমার সাথে ও পাশে আছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ এ দিদিকে ফের মসনদে বসানো। জেলা সভাপতি ওনার মতো রাজনীতি করছেন, আমরা বিধানসভার দায়িত্বে যারা আছি তারা তাদের মতো রাজনীতি করছি। দলের স্থানীয় বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি, দায়িত্ব প্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্ম্মুর এদিনের কর্মসূচীতে অনুপস্থিতিতে প্রসঙ্গে জেলা যুব তৃণমূল সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস বলেন, সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কে আসবেন আর কে আসবেননা সেটা তার ব্যাপার বলেও তিনি জানান।


এবিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, তৃণমূল পরিবার অনেক বড়, কেউ যদি আবেগের বশে কিছু বলে থাকেন বিষয়টি দেখার পাশাপাশি খোঁজ খবর নেবো। সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে 'কোন খোঁজ খবর না নিয়ে' তিনি এই বিষয়ে কিছু বলবেন না বলে জানান।

বিষয়টিকে ‘ভাগ বাটোয়ারা’র নিয়ে সমস্যার ফল, দাবি করে বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সহ সভাপতি শ্যামল সরকার। তার আরও দাবি, তৃণমূল দলটা এখন সভাপতি চালাচ্ছেনা। চালাচ্ছে পি.কে ও পুলিশ। ২০২১ এ আর ঘাসফুল ফুটবেনা বলেও তার দাবি।

কয়েকদিন ধরেই হুগলি জেলা তৃণমূলের একে অপরের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি করতে দেখা যায়। আসরা নামতে হয় স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এর রেশ কাটতে না কাটতেই পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়াতে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে শাসক শিবির বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।

Loading

Leave a Reply